রোজ রাতে ওরা আসে ঘুমের গভীরে
কড়া নাড়ে বার বার করোটির দরজায়
আসে অজস্র শুক্রাণুর মত ঝাঁকে ঝাঁকে,
জানিনা কোন উদ্দাম অমোঘ আকর্ষণে
হতে চায় প্রোথিত চেতনার অনুর্বর জঠরে ।
প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় থাকি নিজেকে জড়িয়ে রাখার
অচেতনতার চাদরে ।
নিষ্ফল হয় সমস্ত প্রতিরোধ ,
আঘাতে আঘাতে হয় বিদীর্ণ চাদরের ব্যুহ
নিরুপায় এক শ্রান্ত প্রাণ আমি
অগত্যা সঁপি নিজেকে ওদের অব্যর্থ আহ্বানে ।
খোলা দরজার হাঁ করা মুখে ওরা ঢোকে সহসা,
মুহূর্তেই জেঁকে বসে নিউরনের গ্রন্থিতে,
তলিয়ে নিয়ে যায় কোন দূর ভাবনার কৃষ্ণগহ্বরে ।
খানিকটা যন্ত্রণা, আর খানিকটা ভালো লাগার দোলাচলে
সমর্পিত হয় দেহের প্রতিটি কোষ
নির্বাক দর্শক হয়ে দেখে চলে শুধু নিষ্ঠুর সময়েরা
ভাবনা আর পংক্তিদের এই সঙ্গম
অপেক্ষায় থাকে শুধু, কখন ভূমিষ্ঠ হবে একখানা অবয়ব।
বেড়ে চলে জঠরের টান,
প্রাণের বিরান করে হাহাকার দুঃসহ যন্ত্রণায়
কবির করোটি করে চলে যুদ্ধ সময়ের দাবীতে ।