মানুষকে বোঝা যতো কঠিন
তাকে বোঝানো বোধহয় তারচেয়ে কঠিন ।
আমার চেয়ে ঢের বড় আঁতেল আছেন জগত সংসারে
নাকের ডগায় চশমাটি ঝুলিয়ে, চোয়াল ঢিলে করে সব শুনবেন
তারপর বলবেন-“দুর মশায়, আপনি বেশি বোঝেন।“
‘বেশি বোঝা’টা এখন গালি বিশেষ,
শিষ্টাচারের ভেতরেই ‘আহাম্মক’ জাতীয় শব্দের পরিপূরক বলা চলে।

জানতে জানতে আর মানতে মানতে অনেকটা সময়
অজান্তেই হারিয়ে গেছে জীবনের খাতা থেকে।


আমি শুধু বুঝতে চেয়েছিলাম
আর চেয়েছিলাম বোঝাতে,
নাগরিক,জাগতিক,মানবিক দায়িত্ব থেকেই।
সাড়া না পেয়ে অসাড় হয়ে গেছি নিজেই সেই কবে।


পৃথিবীর সব আপেক্ষিকতার অন্তরালে এক মানদণ্ড থাকে
শক্ত-পোক্ত যুক্তির বাঁধনে জড়ানো সব সত্য; সব সূত্র।
শর্ত-সাপেক্ষে মানুষ হওয়ার চেয়ে আমি বরং মুক্ত স্বাধীন হতে চাই
বিদ্রোহী কিংবা ব্যতিক্রমী কোন স্বত্বা।


এক সময় এই আমি-ময় স্বত্বাটি বড় একাকীত্বে একাকার হয়
আমার শ্রেষ্ঠত্ব আমাকেই ব্যাঙ্গ করে, হাহাকার করে ওঠে সাধারণ আমি  ।


অবশেষে একদিন - চিরদিনের জন্যেই- আমি চিরচেনা জগতে
ফিরে আসি-
সমগ্র চেতনা নিয়ে নতজানু হই স্রষ্টার সমীপে-
পঙ্কিল কাদায় গড়া অতি সাধারণ মানুষ হিসেবে
প্রগাঢ় প্রশান্তিতে।