প্রত্যেক সৃষ্টিরই থাকে উৎস
উৎসকে  অনেকটা ঘুরিয়ে , অনেক পরত রঙ চড়িয়ে
যখন কবি আর লেখকেরা নতুন কিছু সৃষ্টি করেন
নতুনই হয় তা- উৎসে ফেরা আর যায় না।


আমি দেখেছিলাম তার চোখে জল-
সেই বেদনাসিক্ত অবয়বের করুণ অভিব্যাক্তি
যেন জাগতিক যন্ত্রনার উর্ধে প্রসূত।
আংশিক শুখিয়ে যাওয়া অশ্রুর ছাপ যেন
একটি দীর্ঘায়িত কষ্টের লিখিত ইতিহাস।


তার ব্যাথার কারণ আমি খুঁজিনি
কাল্পনিক চরিত্র চিত্রনে পারদর্শী আমি
নির্বিবাদে এগিয়েছি আমার লেখনী
পৃষ্ঠা থেকে পৃষ্ঠায় ছড়িয়েছে কাহিনীর ডালপালা
সফলতার সাথে আমি অধ্যায়ে অধ্যায়ে
ছড়িয়ে দিয়েছি আমার চিন্তাশক্তির স্ফূরণ।


সেই বেদনাক্লিষ্ট অশ্রুসিক্ত মানবের
কষ্টের কোন কারন আমি জানতে চাইনি-
চেষ্টাও করিনি তার ব্যাথার উপশমের
আমি যে সন্তুষ্ট আমার সৃষ্টিতে।।
                
                   ২


আমার কাব্যের বর্ণমালারা
এগিয়ে যেওনা আমাকে ছেড়ে একা একাই
হেঁটো না একা পথে ভুল বোঝার গর্তে পড়ে যাবে ।
দূরত্ব বাড়িও না এতোটাই যে
        দূর থেকে আমাকেই আর যাবে না চেনা।

আমার মনের ছায়ায় হাঁটো
একটু ধারণ কর আমার ভাবের রঙ
বিদ্রোহী হয়ে তুমি চাইছ কি ?
আমায় ডোবাবে?
আমি তো ডুবেই আছি ভাবের জলে।
আমাকে স্পর্শ করার স্পর্ধাই নেই
কোন বাক্যবানের
বর্ম পড়েছি নির্লিপ্ততার
নির্ভার হয়ে নির্বিকার হতে শিখেছি
জীবনের সেই প্রত্যুষেই।


তাই বলছি
এসো ভাব করি
মনের সব রঙ ঢেলে তোমায় সাজিয়ে দিই
স্তুতি যদি জোটে, সব থাক তোমারি
আমি আড়ালে শুধু হাসবো সুখে
তাই বলছি- চল,
এক সাথে হাতে হাত রেখে নেমে পড়ি সুন্দরের সৃষ্টিতে।