কতোটা বিকেল হাঁটলে এক সুন্দর জীবনের সূর্যাস্ত
দেখা যাবে আমি জানিনা,
তবে জেনেছি বিনয়ের রাস্তায় হাঁটলে
মানুষ হবার ঠিকানা পাওয়া যায় ঠিক ঠাক।


নষ্ট শিক্ষার মানুষেরা আমার বিনয়কে ভাবলো দূর্বলতা-
কষ্ট বুকে চেপে আমি হোঁচট খেতে খেতে এগিয়েছি তবু সেই পথে;
বার কতেক মনে হয়েছে ঘুরে দাঁড়াই-
ভ্রান্তির ধুম্রজালে ঢেকে থাকা প্রাণীদের বুঝিয়ে দেই-
মানুষ কত ক্ষীপ্রতার সাথে বদলে ফেলতে পারে নিজেকে।


হয়নি আমার সভ্যতার দেয়াল ডিঙ্গিয়ে অসভ্যতার পাঁকে পড়া
দেহের ভিতরে কোষের গভীরে থাকা সর্পিলাকার জীনগুলো  
সেই কবে থ্বেকে আচরনের বিধিমালা নির্ধারন করে রেখেছে--
তাদের দৃঢ়তাকে  অতিক্রম করতে পারে না পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব।


যারা উঁচু মনে  পৌঁছুতে পারে না , তারা-
“আমি নত হবো না , আমি নীচু হবো না”- বলতে বলতে
আরো নীচতার পরিচয়ই দিয়ে বসে।
যার হারানোর কিছু নেই সেই যেন সব হারানোর ভয়ে থাকে ভীত সর্বদা,
- এ এক মহা পরিহাস মানব মানসের।


শেষ ফিতে ছুঁতে পারি আর নাই পারি-
মানুষ হবার, বড় হবার রেসে আমি দৌড়েই যাবো- এই তো জীবন।


আমি ঠকছি- আমি ঠেকে গেছি দেয়ালে
জানি দেয়াল ঠেলে দেবে সামনেই
আমি ছুটবো শেষ নিঃশ্বাস অবধি।


তাই আমি ছুটছি-
ভুল করে ভুল বুঝে ধাক্কা দিও না আমায়-
যদি ভাব আমার এ গন্তব্যে তুমিও যাবে
তবে এসো একসাথেই ছুটি।

[ Blessings are not valued till they are gone.]