মানুষের বিচারবুদ্ধি কি স্বাধীন ?
নিজের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে একদিন প্রশ্ন করেছিলাম নিজেকেই
যাবতীয় লব্ধ জ্ঞান আমার জুরী-বোর্ড সেজে মাথা নাড়ছিল এদিক ওদিক
সিদ্ধান্তহীনতায় –
সেদিন বুঝেছিলাম এক জীবনের অভিজ্ঞতায় বিচারবুদ্ধি গড়ে ওঠে না
বহু জীবনের আচরণ বিধি অনুধাবনেই অর্জিত হয় তা
দেখেছি ধর্মের শিক্ষায় অনুসৃত বিচারবুদ্ধি কিভাবে মানুষকে ধার্মিক বানায়
কিভাবে সামাজিক রীতিনীতির অনুগত হয়ে সুনাগরিক হতে হয়
কিভাবে মানবিক বিচারবুদ্ধি মনুষ্যত্বকে প্রতিষ্ঠা করে।
মানুষের মানসের ইমারত দাঁড়িয়ে আছে দেখি সূক্ষ্ম বা স্থূল
বিচারবুদ্ধির কাঠামো নিয়ে—
অন্য উন্নত জীবন থেকে শিক্ষা নিতে যারা অনাগ্রহী তাদের
স্বাধীন বিচারবুদ্ধি হন্তারক হয়ে ওঠে মানবতার।
বিবেকের শাসন না থাকলে অন্যায় অনুমানে প্রভাবিত মন
ভুল বিবেচনায় ধ্বংস করে সম্পর্ক , আত্মার শুদ্ধতা।
তাই জ্ঞানের অধীনে থাকা বিচারবুদ্ধি
প্রবৃত্তির প্রবঞ্চনা থেকে স্বাধীন হতে পারলেই
পায় সঠিক পথের সন্ধান ।


[ আমার চোখা চোখা চিন্তার খোঁচায় খোঁচায় আমি জর্জরিত। ভেবেছি যন্ত্রণা ছড়িয়ে দিলে তাঁর তীব্রতা কমে যায় আর “ দশের লাঠি একের বোঝা “-পড়েছিলাম , কাজে লাগানো গেল তা আজ।
এই কাব্যিকতারোহিত কাষ্ঠং শুষ্কং লেখা আসলে নিজেকে নিজে শিক্ষা দেয়ার প্রয়াস –শুধুমাত্র সম্মানিত পাঠকের সহ্য-ক্ষমতাই আমার কুণ্ঠাবোধকে প্রশমিত করতে সক্ষম ।]