তুমি যাবে বলে বলছিলে--
চলে যাবে দূরে এই বলে, সরেও গেলে সামনে থেকে
নির্বাক আমি স্তব্ধ বিস্ময়ে লব্ধিহীন
অপলক শূন্য দৃষ্টিতে ছিলো হয়তো বিভ্রমের ছায়া,
অগত্যা ,কোন এক পলকে
তুমি সত্যিই চলে গেলে--


পেছন থেকে ডাকা হলনা তোমায়
ছুটলামও না তো দ্রুত পদক্ষেপে কোন পথে তুমি গেলে দেখতে তা --
অবাক হওনি তুমি একটুও ?
হয়তো অভিমানের অঙ্গারে উত্তপ্ত অস্থির ছিলো মন তোমার,
আমিতো তোমায় রেখেছিলাম প্রাণের অনেক গভীরে
সেখানে তুমি বিম্বিত প্রতিপলে _
তাই আত্মাই ছুটে সাথী হলো তোমার।


চলে যাবে বলেও, ফিরেছিলে তুমি,
সজল অভিমানী চোখে প্রথম দাঁড়ালে
হাট করে খোলা সদর দরজাটার মুখে--
যাবার সময় দেখা একই আসনে উপবিষ্ট
আমার নিশ্চল মূর্তীর দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকালে
সভয়ে চিৎকার করে উঠলে আমাকে ছুঁয়ে দেখার পর--


তুমি হারাতে চাইছিলে না আমাকে--
অ্যাম্বুলেন্স -হাসপাতাল ,সব হলো;
মৃত্যু নিশ্চিতকারী সনদপত্র হাতে তুমি সংজ্ঞা হারালে।
জানো,
তুমি চলে যাবে , এ সহ্য করার ক্ষমতা আমার ছিলো না।
তুমি যাবার পর যখন সম্বিত ফিরে পেলাম--
তড়িৎ ছুটে যেতে চাইছিলাম আমি তোমারে কাছে
হতবাক দেহটাকে ফেলে প্রাণই ছুটলো আগে তোমার পানে,
দ্যাখো ঠিকই ফিরিয়ে এনেছে সে তোমাকে
আমার কাছে-- নিষ্প্রাণ এই দেহটার কাছে।
হতভাগ্য এ প্রাণ জানেই না , ফেলে যাওয়া দেহঘরে
আর ফেরা যায় না ।