সুজাতার হাতে পায়াস খেয়ে
যে বুদ্ধ থেকে মহাবুদ্ধ হয়ে
মানুষের হৃদয়ের প্রীতর মতন
করেছিল যে  বিশ্ব পরিভ্রমন  
সূর্যালোকিত মহাপুরুষের মতন
সে কি কোনদিন খুঁজেছিল
সুজাতার নরম হ্রিদয়কে।
নাকি শরীরের সব পাপ
সুজাতার হ্রিদয়ে ঢেলেছিল
তার হৃদয় খুঁড়ে ।
বিবর্ণ,  ফিকে করে গেছে
যৌবনের জোবন্ত শরীর ।


পায়েসের বাটি হাতে সুজাতা
আজো রয়েছে অশোক বৃক্ষের নিচে
মাদীকুকুরের অনুভুতি হ্রিদয়ে নিয়ে
একা একা শব্দহীন  সংগোপনে  
মিটবে কি  মহাপুরুষের কামুকতা ?  
সুগন্ধ পায়স একদিন চলে যাবে
সুজাতা রয়ে যাবে অন্ধকারে ।
স্যাঁত্সেঁতে শ্বাস-ভিজা চোখের জলে।
মড়কের ইদুঁরের মত লাশ হয়ে
শুয়ে রবে একা আঁধার ঘুজির বুকে ।  
জিবনের চাঁদ ডুবে চলে যাবে
মহাপুরুশের সমাপ্তিহীন ক্ষুধার হ্রিদয়ে ।