একটি কলম যদি এক সহস্র মশাল হতো,
একটি কবিতা যদি এক সাগর রক্ত হতো,
একটি প্রতিবাদী কণ্ঠ যদি অজস্র কণ্ঠের সমারোহ হতো;
আমি বাংলার ঘরে ঘরে জালিয়ে দিতাম আগুন।
সে আগুনে পুড়িয়ে ছায় করে দিতাম হিংস্রক শিয়াল ও শকুনকে।
যারা এই বাংলাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়েছে এবং এখনো,
তাদের কে।
রক্তের স্রোতে মুছে দিতাম পুরাতন ইতিহাস,
যে ইতিহাস অতিতকে জাগ্রত করে,
আর বর্তমানকে নোংরা করছে।

জরাজীর্ণ আর বে-হিসেবী শিয়ালের দল ভেসে যেতো রক্তের স্রোতে,
সৃষ্টি হতো একটি নতুন অঙ্গীকার।
বাংলার কাঁঠালের পাতায় আবার ভেসে উঠতো ভোরের আলো।
শাপলা শালুক ভাসতো স্বাধীন বঙ্গে মুক্ত জীবনে।
কোকিলের গানে ঘুম ভেঙে জেগে উঠতো ভোরের কুয়াশা ভেজা চোখ।
বক আর দোয়েলের শীশে জাগতো ভোর,
ভোরের হাওয়ায় হামাগুড়ি দিতো বাউলের এক তারার সুর।
নতুন শুকতারা আলো জ্বালাতো বাংলার প্রতিটি কুঠিরের দারে।

কবির বানী যদি দেবশক্তি হতো,
এক ফোঁটা কালী যদি হতো ইতিহাস,
আমি নতুন ইতিহাস সৃষ্টির অঙ্গীকারে বিদ্রোহী হতাম।

ধান সিঁড়ির বাংলায় আবারও কাঁশবন আর হি-জলের ফুলে ভরাতাম।
বাংলার কৃষককে আবারও আহবান করতাল,
এই বাংলার সবুজের সমারহ সৃষ্টি করতে।
আগামী প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলতাম ইতিহাসের পূর্নর  
আবৃতি করতে।
শিল্পীর চিন্তাতে আবারও জাগ্রত হতো রুপোসী সোনার বাংলা।



[ সারথী, ♥ লেখা- ০২.১২.১৯৯৮ ]