আমার চোখ দুটো'তে শকুনের চোখের ছোয়া পেয়েছে,
এখন চোখ দুটোর কোন হাই-ড্রোলিক ব্রেক নেই,
নেই কোন ষ্টেশন।
যখন যেখানে যাত্রী পাই সেই খানেই সে থেমে যায়,
লোকাল পরিবহনের অনুকপি সে...;
বিভেদ-ব্যবধান, নেই কোন তোয়াক্কা।
লাইসেন্স বিহীন চালকের নিয়ন্ত্রণে এখন,
কিন্তু এতে যে সীলমোহর লাগানো আছে,
সেটা তো অন্য ভাবে প্রকাশ পাই।

যখন কোন যাত্রীর উপর এর দৃষ্টি পড়ে,
তখন চোখ দুটো মনে করে ল্যবলেটারীতে তার গবেষণা;
সে অস্থি মজ্জার ভিতর দিয়ে পরিক্ষা করতে চাই  কঙ্কাল কে'ও।
এ চোখের কাছে শিশু, তরুণীর কোন প্রভেদ নাই।
হয় তো বা এ চোখ মা'কেও দৃষ্টি গোচর করতে দিধা করে না।
এ আমি কোন চোখের কথা বলছি।


এ চোখ ক্যামেরার ফ্লাসের ন্যায় ফোকাস ফেলে যাত্রীর উপর,
নর-কাংলাশের মত চুষে খেতে চাই,
যাত্রীর বিশেষ অংশগুলোর রস।
মনে করে অনন্তকাল যদিও চোখের পলক নাও পড়ে,
তাহলেও এর স্বাধ পূর্ণ হবে না,
এ আমি কোন চোখের কথা বলছি।

আজ..., সমাজে,
এ চোখের রাজত্বের কেন্দ্রস্থল,
নর পিসাচ শকুনগুলো নিদ্রাহীন,
আমি নষ্টালজিক নাগরিক নামের হায়েনার কথা বলছি;
যে চোখ প্রতি মুহুর্তে করছে ধর্ষিত,
নিজের চাহিদায় তৈরী করছে নষ্ট সমাজ;
এ আমি সেই চোখের কথা বলছি।



[ সারথী, ♥ লেখা-২১.০২ ১৯৯৯ ]