৫২-এর ফেব্রুয়ারী
এবং......একুশ
একুশ পেয়েছে আজ
বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসের সম্মান
ভাষা পেয়েছে তার স্বকৃর্তি
বাংলা পেয়েছে বিশ্বের বুকে মর্যাদা।


একুশ হলো
একটি ফেব্রুয়ারী
প্রতি বছরের একটি সকাল
হাজার শহিদের রক্তে মেশা দিন।


একুশ হলো
৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারী
সালাম রফিক শফিউর বরকত জব্বার
অজস্র শহিদের মুখের বলি
শরীরে জড়ানো রক্তে ধোয়া সাদা কাপড়।


একুশ হলো
মা-বোনের নির্যাতিত দেহ
কবির ভাঙা কলম
কাগজ বিহীন মায়ের ভাষার কবিতা।
বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকের নিরন্তর কণ্ঠের ঝাঁঝালো শব্দ
বাংলা ভাষায় গনজাগরণে আত্নঃ চিৎকার।


একুশ হলো
বাংলা নরজাতকের মুখের শব্দ-মালা
প্রথম বলি "ম...আ" শব্দের আত্মতৃপ্তি।


একুশ হলো
স্বরলিপি অ,আ,ক,খ
আদর্শলিপির হাতে খড়ি।


একুশ হলো
ইষ্টেন গানের ঝাঁঝালো আওয়াজ
কৃষাণ-কৃষাণীর মনের বিস্তৃত খোলা চিঠি
বাবার শরীরে ঘামের গন্ধ
মায়ের বুকের নিঃস্বার্থ সান্ত্বনা
ভায়ের সাথে ডাঙ্গগুলি আর গোল্লাছুট খেলা,
বোনের আঁচলে জড়ানো ক্লান্তির ঘাম।


একুশ হলো
ধানের ক্ষেতে বাতাস নেচে যাওয়া সুর
হলদে ভরে ওঠা সরিষায় বাংলার জমিন
বিলে ফোঁটা লাল পদ্ম
কোকিলের কণ্ঠে ভেজা সুর
কাঁশবনে বাতাসের দোল মিতালী।


একুশ হলো
শহিদ মিনারের অজস্র ফুলের অহংকার
বাংলা একাডেমির বই মেলা আর কবিতা উৎসব।


একুশ হলো
বাংলা জননী'কে "মা" বলে ডাকার দিবস
সহস্রাব্দের বিশ্ব মানচিত্রের মাতৃভাষা দিবস।


একুশ হলো
বাংলার কোটি মানুষের গৌরব
বাঙালির শব্দ-কথা-বলি ও ভাষা।


একুশ হলো
বাঙ্গালীর ৫২।



[ সারথী, ❤️  লেখা-২৮.০১.২০০০]