কি পেলে, কি হারালে, হে জন্মদাতা?
          জন্ম দিলে, তাইতো হলাম কবিতা।
পার্কের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো ষোড়শী ললনা,
একাকিত্বের নৈসর্গিকতা ঘুচাতে পাঠে ছলনা।
        অবলা আর কবিতার সাথে ছলনায়,
        মিলেমিশে ঠেকেছে  একই মোহনায়।


        শুধু ভেদাভেদ অতটুকুন ললনারা  সুখে,
       তথাকথিত কবিতার কদর কেবলি দুঃখে।
বোকা ষোড়শী বিগলিত হয় তাঁরই রূপের বর্ণনায়,
আমার কাব্যিক ঝংকারে সাময়িক হাসায় কাঁদায়।
   রঙিন চোখের মোহ ভঙ্গে প্রেয়সীকে যায় ভুলে,
     পাঠের শেষে শক্ত মলাটের চাপে রাখে তুলে।


          নারী কি শুধুই  ভোগ বিলাসের পণ্য ?
     নাকি সরোবরের সুপেয় জলের ধারা অনন্য?
কবিতার শাব্দিক অলংকার ও ভাবের সুগভীরতা,
শুধুই পড়ে  ধন্য রব তোলা, অতঃপর ছেঁড়াপাতা।  
    হে কামিনী- এখানেই তোমার আমার ব্যর্থতা,
      আর্তনাদ যতই কর পাবে মিছে ব্যাকুলতা।


     রূপের নয় গুণের কদরেই তনয়ার স্বার্থকতা,
     মর্ম বুঝে কর্মে লালন তবেই স্বার্থক কবিতা।
কবি ও কবিতা জীবনের ছবি, সমাজের প্রতিচ্ছবি,
ব্যঙ্গার্থে ওরা বলে-কি পেলে কবিতায়?নিছক সবি!
দুখু মিয়া জানতো কভু,গবেষণায় তার গদ্য পদ্য?
  আমিও না হয় হলাম,  আস্ত এক বোকার হদ্দ।