একটি যুগান্তকারী উপন্যাস
লেখার ইচ্ছে ছিল মনে;
জীবনকে নিয়ে কোন লেখা নয়
জীবনকে দেখা যেন সম্পূর্ণ হয় ।


প্রথম অধ্যায় শেষ হল লেখা
কোলাহল, দারিদ্র্যতা, বাস্তবতার রেখা;
অনভিজ্ঞতায় ইম্মেচিউরদ স্বপ্ন দেখা
সরল আর গতানুগতিকতায় জীবনের ছবি আকা।


ইচ্ছেগুলো তখনো ডানা মেলেনি
আঁকাবাঁকা পথটা কেমন, জানা যায়নি;
ঘুরি উড়ানোর কৌশল শেখা হয়নি
অন্যের দেখানো নীতিপথ অনুসরণ করিনি।


দ্বিতীয় অধ্যায়ে, সংগ্রাম, টানাপোড়ন
বাকে বাকে পথ চলা, পাচ ফোঁড়ন;
অসংখ্যা টারনিং পয়েন্ট আর কঠিন পণ
পাওয়া গেল একজনের প্রাণোচ্ছল মন।


স্বপ্নের ডানা মেলে আকাশে উড়া
একের পর এক সাফল্য অর্জন করা;
সব জয়ের নেশায় গতি বাড়িয়ে দেয়া
পেছনের ভুলগুলো সব একটু একটু খুজে পাওয়া।


তৃতীয় অধ্যায়ের শুরুতে ঝাঁকুনি ছিল না
স্বপ্ন জয়ের নেশা স্তব্ধ হোল না;
ইচ্ছের শক্তির জোরে আলোকিত থাকা
স্বপ্ন চুড়ায় উঠার নেশায় বুদ থাকা।


হটকারি  মানুষগুলোর আক্রমন, পেছনে টেনে ধরা
আত্মবিশ্বাস আর মনের জোরে ঝিমিয়ে পরা;
বেখেয়ালে ভালবাসায় একটু একটু ধুলো জমা
নিজেকে নিজে আর, করা গেল না ক্ষমা।


চতুর্থ অধ্যায়, চেনা পথগুলো সব অচেনা হল
অনেকটা পথ বাকীই থেকে গেল;
সব পেয়েও কিছু পাওয়া হল না
পঞ্চম অধ্যায়ে আর যাওয়া গেল না, উপন্যাসও লেখা হল না।


নভেম্বর ২৫, ২০১৭