আমি কোনকালেই
মা দিবস পালন করিনি
আজও করছি না
আজ ফেসবুক ছেয়ে গেছে
মায়ের বন্দনায়
পৃথিবীর সমস্ত মায়েরা বছরে একদিনই ধন্য হন
কবিতায়, গল্পে,স্মৃতিচারনে, ছবি অংকনে কিংবা
এক গোছা ফুল নিবেদনে


আমি কেন পারি না
মা দিবস পালন করতে?
এই দিবসটা কি
পালন করতে হয়, নাকি
উদযাপন করতে হয়?
তাও জানি না
আমি যা জানি,
তা অন্য কেউ জানে না


মে'কে আমার
জীপ ফাইল মনে হয়
আন-জীপ করতে পারলে
ভেতরে এক মহাসমুদ্র
ভালোবাসায়, স্নেহে, মমতায়, কাঠিন্যে, সেক্রিফাইসে, শাষনে, আদরে, প্রার্থনায়.......
অতলস্পর্শী এক সত্তা


আমার তো
আন-জীপ করার সফটওয়্যার ছিল না কখনোই
এতো জ্ঞান অর্জন হলো, এতো বই  পড়লাম,এতো বিদ্যা বুদ্ধি, এতো নাম যশ, খ্যাতি
পৃথিবীর লাভ হলো, অন্যের চাহিদার যোগান হলো
আমার কি লাভ হলো তবে?
মায়ের কোন কি লাভ হলো তাতে?
আন-জীপ সফটওয়্যারটাই অর্জন হলো না


জীপ করা ফাইল
আন-জীপই থেকে গেলো
আমার অসংখ্যা লেখা, অনুতাপ, অনুভব, দহন, ক্ষোভ, ভালোবাসা,
অভিজ্ঞতা.....
যেমন ল্যাপটপের ড্রাইভেই জমা থেকে গেলে
আমি এখনো 'মা' নামক ফাইলটি
আন-জিপ করার চেষ্টা করি


মৃত মানুষ কি
কোন বার্তা দিতে পারে?
কোন উপদেশ, কোন অনুভব, কোন অনুশোচনা, কোন করনীয় কোন বর্জনীয়
কিংবা কোন আদেশ?
মৃত মানুষ কি,
কারো ভুল শুধরে দিতে পারে?
সোনা যেমন খাটি সোনা হয়
আগুনে পোড়ালে
তেমনি করে পোড়াতে পারে?


হ্যা, পারে
আত্মার ভাইব্রেসন এর মাধ্যমে
বাতাসের কম্পনে
আত্মার সাথে আত্মার যোগাযোগে
গভীর রাতে জায়নামাজে
একাকীত্তে, দুঃসময়ে, দহনের তীব্রতায়, অনুশোচনার তাপে
আমি তো বার্তা পাই
সার্বক্ষনিক ভাবেই পাই
তবে কি ফাইলটা আন-জীপ
হতে শুরু করেছে?


মে ০৮, ২০০২
মিরপুর, ঢাকা
ভোর ৬টা