সামাজিক উন্নয়ন কি? এক কথায় বলা মুশকিল
পুরোটা বুঝতে চাইলে দরকার আউটলুক আর স্কিল;
মানুষের সাথে, মানুষকে নিয়ে, তাদেরই উন্নয়ন
ঋণের ভারে, উন্নয়নের চাপে, পিষ্ট জনগন।


আউটপুট চাইলে হবে না, আগে দরকার ইনপুট
দুটো ঘটনাই ঘটবে খুব ঝটপট;
আউটপুটের মানেই নাই, যদি না থাকে ইমপ্যাক্ট
লগ ফ্রেমের তৃতীয় ধাপে থাকে আউটকাম, ইনফ্যাক্ট।


টপ-ডাউন, বটম-আপ, এপ্রোচ এর ছড়াছড়ি
নূতনরা হুমড়ি খেয়ে বলে, বুঝতে হবে তাড়াতাড়ি;
তারপরই আসে এপ্রোচ পারটিসিপেটরি
খুব সোজা, সব কাজই জনগণকে নিয়ে করি ।


ট্রেনিং, কোচিং, মেনটরিং, আরও কত কি
দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন বৈকি;
তাছাড়াও থাকে ওয়ার্কশপ, সেমিনার, ওয়ার্কিং টি,
এসব ছাড়া, উন্নয়নের গতি তবে কি?


উন্নয়ন ধারনা, প্রত্যয়, শেখা যায় না একবারে
চর্চা করে করেই শিখতে হয় বার বারে;
কত ধারনা আমদানি হয় বিদেশ থেকে
আমরা পারি অনেক কিছু, রপ্তানি হয় না এদেশ থেকে।


উন্নয়ন সংস্থার নামের বাহার, নামের অর্থ
নামের মাঝেই লুকান থাকে কাজের তথ্য;
রুপান্তর, নিজেরা করি, ভরসা, উপমা  কিংবা আশা
মানুষ পরিবর্তনের দিন গুনে, চোখে মুখে প্রত্যাশা ।


নুতন আমদানি, রাইটস  বেইজদ এপ্রোচ
কিছু দেয়া হবে না, কথার মারপ্যাচ;
নিজের পাওয়া নিজেই আদায় কর
আমারা দূরে থাকবো, তুমি বাঁচো কিংবা মরো।


কারণে অকারনে বিদেশ ভ্রমন
খুব দরকার বিদেশীদের আতলামি শ্রবণ ;
কাজের ফাকে থাকুক একটু সেক্স ট্যুরিজম
দুজনের একমতে সব কিছুই হজম।


গরিবি হটাও আর স্থায়িত্বের মডেল
ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা, সমাবেশে সব আতেল;
এত এইড কোথায় যায়, জানতে চাওয়া
গরীব ধরে আন, বিদেশে নিয়ে প্রমান দেয়া।


কর্মীরা কষ্টে মরে, বাড়ি বাড়ি ঘোরে
উন্নয়নের মধু যায়, সংস্থা প্রধানের ঘরে;
মানুষের অধিকার, সোচ্চার পথে ঘাটে
অন্যায় অত্যাচারে থাকে কর্মী, সামান্য বটে ।


ইউএস এইড, একশন এইড, ইউকে এইড, ওয়াটার এইড,
আরও আছে  ক্রিশিয়ান এইড, ডান চার্চ এইড;
নিম্ন আয়ের দেশ ছিল, এইড এর  ছড়াছড়ি
এখন মধ্যম আয়ের দেশ, এইড নিয়ে তাত্ত্বিক মারামারি ।


জানুয়ারি ৩১,২০১৮
কক্সবাজার