পুরুষতন্ত্র
             -সরদার আরিফ উদ্দিন


ছেলেটির সারাদিন ছুটাছুটি, ব্যস্ত আউটডরে
মেয়েটির একাজ্‌ ওকাজ, সময় কাটে ইনডরে;
বিকেলটা কাটতো ভালই দুজনের, করিডরে
অবশেষে একদিন, দুলে উঠলো, ভাবনা নড়বড়ে।


মেয়েটি প্রেগন্যান্ত, দুজনেই খুশি
ছেলে না মেয়ে চাই, প্রয়োজন কোনটা বেশী;
তর্কের শুরু, আগে আমি ছেলেই চাই
সমাজের প্রয়োজন মেপে দেখ নাই??


মেয়ে হলে ক্ষতি কি, পার্থক্য  কেন কর?
ছেলে আমার বংশধর, মেয়েকে নিবে তার বর;
ছেলে আমার ভবিষ্যৎ, উত্তরাধিকার
মেয়ে আমার সন্তান, তার উপর নেই অধিকার ।


ছেলে মেয়ে দুজনই আছে্,‌ সুখী সংসার
স্বপ্ন দেখি, ছেলে আমার হবে ব্যরিস্তার;
কাজের ফাকে মেয়েটা না হয় পড়তে চায়, পড়ুক
খুব বেশী না, সমাজ যা চায় ততটুকুই বাড়ুক।


১৮ ত হোল, মেয়ের বিয়ে দিতে হবে, ভাবনায় মরি,
কখন কি ঘটে যায়, বিয়ের আয়োজন যত তাড়াতাড়ি।
২৮ হয়ে গেল, ছেলেটি এখনও বেকার
নিজের বিয়ে নিজেই ভাবুক, চিন্তার এত কি দরকার।


মেয়েটা না হয় আরেকটু পড়ুক, আয়ের পথে যাক
নিজের পায়ে নিজে থেকে স্বাধীনতা পাক;
স্বামীর আয়ে চলেনি তোমার? আমার কথাই থাক;
যা বলি তাই শোন এবার, মেয়ের জন্য স্বামী খোজা যাক ।


চাকরি হবে যেখানে, ছেলে থাকবে সেখানে
এতে আবার ভাবার কি ! বউ থাকবে এখানে;
আমি বাড়ির কর্তা, কথা একটাই
যা বলি তা শুনতে হবে সবটাই ।


অক্টোবর ১১, ২০১৭