পৃথিবী অনেক, অনেক বদলে গেছে
সমাজটা ও তাল মিলিয়ে চলছে
পরিবারগুলো আমতা আমতা করছে
শেষে পরিবর্তনের কাছে আত্মসমর্পণ হচ্ছে।


আগে ত বাবা-মাই সব ঠিক করতো
ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ তারাই জানত
প্রগতিশীল পরিবারগুলো একটু জিজ্ঞাসা করত
বেশীর ভাগই নিজের মত করে ভাবত।


এখন ত আর সেদিন নেই, পরিবর্তনের আচ
আমিও বদলে গেছি, বলে যেতে চাই আজ
আমি ঠিক জানি না, বড় হয়ে তুই কি হবি
যেটা ভাল হয়, নিজে নিজে ঠিক করে নিবি।


এত্ত বড় পৃথিবীতে, টিকে থাকতে হলে
জানিস নিশ্চয়ই কতটা যোগ্যতা লাগে;
এখনই সময়, নিজেকে নিয়ে ভাবা যাক
যতক্ষণ  আমি আছি, নিশ্চিন্তে থাক ।


একটা ব্যাপারে তোকে নিশ্চিন্ত করি
ভরণপোষণ নিয়ে ভাবিস না, তোর মা
আর আমি যখনই মরি;
তোর উপর নির্ভর থাকবো না, বলতে হবে না Sorry.


নিজের মেধার বলে এগিয়ে থাকবি
আমার কথা বলি না, নিজের সম্মান বাচিয়ে রাখবি;
কেরিয়ার ছুতে গিয়ে কখনো দিসনা বিসর্জন
যে মানবতাবোধ তোর এতদিনের অর্জন ।


তোর চলার পথের সঙ্গী, তুইই বেছে নিবি
চাকচিক্যে ভুলিস না, কথা দিস না সামনে যাকে পাবি;
একটু দেরী হলেও, সঠিক মানুষ খুঁজবি
আদেশ উপদেশ কোনটাই নয়, তোর জীবন, তুইই বুঝবি।


জীবনের জন্য খুব বেশী কিছুর নেই প্রয়োজন
শুধু শুধুই ব্যস্ত আমরা, অহেতুক নানা আয়োজন;
শ্রম, দক্ষতা আর মেধার জোরেই হাঁটবি
আশা থাকলো, জীবনটা তুই ভালই কাটাবি ।


অক্টোবর ১৪, ২০১৭


বিদ্রঃ  আসরে প্রকাশিত কবি আর্যতীর্থ এর কবিতা “মেয়েকে খোলা চিঠি’ দ্বারা দারুনভাবে প্রভাবিত এই কবিতাটি । এমনকি ২-১ টি লাইন ওই কবিতা থেকে ধার করা হয়েছে। মনে হচ্ছিল নিজের ছেলে মেয়ের কাছেই লিখছি।