আমায় তুমি বৃক্ষ ভাবতে পারো,
হাত পা ছাড়া মুমূর্ষু কান্ড।
লক্ষ নক্ষত্র তলে বসে ভাবছি এর শেষ হবে কবে!
দিন, রাত কেটে যায়; ছুটে যায়,
নিঃশেষ হয়ে আসে আলোক রশ্মি।
সমুদ্রের গান, পানির কলতান থাকবে,
থাকবে পৃথিবীর ধুলো, মাটি, শরীরের অবয়ব।
আমি চলে যাবো,
জ্যোৎস্নার পারে, তৃণ আর ঘাসফুলের ছাউনি ঘেরা নীড়ে।
মানুষ, ভিড়, কোটি পা শব্দ তুলে,
পিপাসা, তৃষ্ণা, আকাঙ্ক্ষা বিদায় তোমাদের।
জানি আর আসবো না,
ফেরার পথে বন্ধুহীন নিথর আবছায়া।
তবুও জীবনের কি মায়া!
শেষ বেলায় যখন রঙের ছটা শূন্যতা খুঁজে পায়
কুয়াশায় পথ খুঁজে বেড়ানো পথিক অন্ধ বনে যায়।
ক্লান্ত পাখি, ক্লান্ত কাশবন, ক্লান্ত জনপদ,
খড়কুটো উড়ে যায় ফড়িঙের বেশে।
সবুজ কচি পাতার ফাঁকে বসা দোয়েলের গানে আজ মধু নেই,
তবে কি মহত্ত্ব কমে গেছে!
মায়ার জল ঘোলা হয়ে পরে আছে পৃথিবীর পথে পথে।
মৃতের মতো কতো গুলো আত্মা,
শরীর নেই, প্রেম নেই, বোধ নেই।
আছে কেবল একরাশ ছুটে চলার শক্তি,
আকাশ ধরার শক্তি,
কাগজের দাসত্ব মেনে নিয়ে বেড়ে চলে হৃদয়ের জ্বর,
থামাতে গিয়ে থমকে গেছি,
(অবসাদ) জলের বাণে ডেকে আনে মৃত্যু ক্রন্দন,
অগাধ ঘুমের রাজ্যে পৃথিবী মলিন,
অন্ধকার আর কেবল অন্ধকার,
কিছু নেই বলে ঘুমিয়ে আছি লক্ষ নক্ষত্র তলে।
আমায় ডেকে তোলার দায় নিয়ো না তুমি,
বিবর্ন জড়ানো মৃত্যু জেনে গিয়েছে নাম,
শেষ হয়ে আসছে সময়,
আমাকে ঘুমবার দুদণ্ড সময় করো দান,
ক্ষেতের ফসলের কোলে উঁকি দেওয়া সূর্য,
ঘাসের স্তনে বেয়ে ঝড়ে পরা শিশিরের ফোঁটা,
শেষ হয়ে আসছে সময়,
আমাকে ঘুমবার দুদণ্ড সময় করো দান।