আমি বরাবর প্রেমিক,
শরীর আমার পূজার থলি,
তোমার দেওয়া চুমু, দেহের মিলনে জ্বলে ওঠা আগুনের ফুল্কি
বুক পকেটে নিয়ে আজও আমি ঘুরি।
তুমি পৃথিবীর মুক্তি চেয়েছিলে,
আঠারো পেরোনো কিশোরী দেহের ভাজের ফাঁকে যে উদ্দীপনা জন্মায়,
সমুদ্রের গভীরতায় তলিয়ে যায় ক্রুদ্ধ যুদ্ধ শেষে,
তুমি নাম দিয়েছিলে প্রেম,
আমি বলি দেহের ক্ষুধা,
রক্তাক্ত ঠোঁট, বাঘের আঁচড়, শান্ত স্তন
তারপর হিমযুগ,
মনের ভেতরের ক্ষুধায় ভুগছে বর্বর সভ্যতা,
অমাবস্যা খোঁজে জ্যোৎস্নার মতো কোমল স্নিগ্ধ যোনি,
তোমার কোমড়, পাছা দোলে বেশ্যার মতো,
সাধুর বেশ জড়িয়ে বলি আমি বরাবর প্রেমিক,
শীৎকারে সুখ,
সুখের পরে দেহ বহুদূর চলে যায়,
নষ্টামি বন্ধুত্ব, প্রেমের বাণী,
মেরুদন্ডহীন অসামাজিক কবিতা,
তোমার নাক, মুখ, চোখ, ঠোঁটে আমার দাগ,
একটা শিল্পকর্ম, একটা নদীর গর্ভে হারিয়ে যাওয়া প্রেম,
শেষে এসে মিলেছে দেহের ক্ষুধায়,
একটা, শিল্পকর্ম, একটা শিল্পী, একটা মৃত্যু।