আমি জ্যোৎস্নায় ভিজবো বলে
তিমির দূর করে হাঁটি বহু ক্রোশ,
কখনো শিশিরের ফোটায় মিলিয়ে যেতে চায়
শ্রাবণ ধারায় গড়া আমার তনু,
কখনো ভোরের আলোয় বন্ধ আসে দু' চোখ,
ইচ্ছা জাগে,
ইচ্ছা জাগে আলোক প্রান্তরে ভাসি,
যেভাবে বাতাসে উড়ে কিশোরী ঘুড়ি।
আমি বাস করি শাড়ির আঁচলে,
উত্তপ্ত নদীর বুক আর ঢেউয়ের তোরে ভেঙে যাওয়া তীর
আমায় ডাকে,
যুবতী সাজে প্রেম নিয়ে বসে আছে প্রকৃতি দেবী,
দেখার মাঝে আছে সুখ,
সে সুখ দূর করে দেহের ক্ষুধা,
নিশ্চুপ চোখ নিয়ে শান্ত শরীরকে বলি এখানেই শেষ হোক,
এখানেই আমি যেনো ডুবে থাকি,
পা চলবে না, দূরত্ব পার করবে না,
এখানেই আমি ডুবে থাকি।
ভোরের প্রথম রশ্মির প্রথম চুম্বন আমার চোখ জুড়াবে,
সন্ধ্যার আধো অন্ধকারে নিমগ্ন হবো
আমি দেখবো গ্রীষ্মের নিষ্ঠুরতা
দেখবো বসন্তের ফুলের বিমুগ্ধতা,
আমি দেখবো, দেখবো খোলা স্তন নিয়ে বসে থাকা দেবীর বুক,
তবু নিশ্চুপ চোখ নিয়ে শান্ত শরীরকে বলবো এখানেই শেষ হোক,
এখানেই আমি যেনো ডুবে থাকি,
পা চলবে না, দূরত্ব পার করবে না,
এখানেই আমি ডুবে থাকি।