কোনো একদিন কি আমাদের কথা হয়েছিলো
শরতের কাশবন ফেলে একটু সামনে বসে?
কতো বয়স ছিলো তখন?
পনেরোর তো বেশি নয়,
না তখন আমরা প্রেম বুঝি নি,
বুঝি নি দেহের সাথে দেহ মিলে সৃষ্টি করে যৌনতা।
সরলতার সূত্রতে গাঁথা ছিলো বন্ধুত্বের অঙ্ক।
যেমন বাঁধা থাকে শহুরে রিকশা চালকের সাথে
রাস্তার পাশে সস্তা হোটেলের ভাতের স্বাদের।
যেমন বাঁধা থাকে অফিসের মাঝে কর্মব্যস্ত বাবুর সাথে এক কাপ চা এর।
জানো আমার মনে আফসোস জমে না,
ঘাসের ডগা ছেড়ে যখন শিশিরের বিন্দু উবে যায় কাঁচা রোদে,
তখন ঘাস কাঁদে না, অপেক্ষা করে রাতের আঁধারের।
এই যে এসেছো, চলে যাবে দু'দন্ড পরে,
তারপর আমার শূন্য ঘর, শুধুই আমার স্মৃতির গাড়ি,
কখনো কাশবন, কখনো বাঁশঝাড়, মেঠোপথ করে পৌছাবে স্কুলের শেষ বেঞ্চিটির পাশে,
সেদিন জানা থাকলে হয়তো বলতাম যেও না,
কিন্তু আজ নিরস্ত্র সৈনিকের মতো মনে হচ্ছে,
ঠোঁটের পাশের তিল, গালের টোল, শান্ত শীতল চোখ, দেহে নদীর আঁকা বাঁকা ভাজ
সব তোমার,
শুধু বুকের নরম স্হানটুকু আমার জন্য রেখে দিও,
আমার জন্য রেখে দিও হাজারো কথার ঝুলি, সদ্যস্নাত ভেজা চুল
আর ভোরের প্রথম চুম্বন।
চেয়ে নেবো নাহয় আবার জন্মালে।