দুপুরের রোদ এলিয়ে গিয়ে যখন বিকেল আসে,
আমি তখন বসন্তের বাতাসে দোদুল্যমান ঘাসফুল হবো,
কচি কাচা থেকে কিশোর, কিশোর থেকে বৃদ্ধ,
পৃথিবীর ঘূর্ণনে বাড়ে বয়স,
কমে মাঠের মাঝে চুপিসারে লুকিয়ে থাকা ঘাসফুলেদের গল্প।


এককালে নদী হবো বলে ঘর ছেড়েছিলাম,
গ্রীষ্মের শেষ হতে বসন্তের শুরুতে লোভাতুর মন হতে চেয়েছে পাখি,
নীল আকাশ, নীল সমুদ্র আর ধূসর মরুর বুকে ঠাই নেই,
পরিশ্রান্ত শরীর তুলে ছুট,
চলমান যাত্রায় আমি ঘরের কোণ থাকা তুলসি গাছটার কথা ভাবি,
ভাবি শিউলি ফুল গাছের কথা,
একটা আম গাছ, একটা দোয়েল, একটা মধুর সুরের সকাল।


শীতের পাখিদের দল আমায় চেনে,
বসন্তের ফুল, প্রজাপতির পাখা, মেঘ পল্লব,
শ্রাবণের বর্ষন, দোলায়িত ধান ক্ষেত
ওরা আমার পরিচিত।
আমায় চিনেছে সকালের পাখি, কোকিলের সুর,
নৌকার পাল, খোলা প্রান্তর আর একটা কুঁড়েঘর।


বারবার জেগে উঠি,
ভেসে বেড়াই কচুরিপানা ফুলে,
ভুলে গিয়েছি যৌবনের গ্লানি,
ভুলে গিয়েছি রাজপথে পা বাড়ানোর গ্লানি,
দুপুরের রোদ এলিয়ে গিয়ে যখন বিকেল আসে,
আমি তখন আবার বসন্তের বাতাসে দোদুল্যমান ঘাসফুল হবো।