নিঃশ্বাস দাঁড়িয়ে আছে নিস্তব্ধতা জড়িয়ে,
এই নিঃসাড় চলাচল, এই আবদ্ধতার নাম কি তবে জীবন!
বয়স সাতাশ ছুঁই ছুঁই,
যৌবনের রংতুলিতে আঁকা শরীরের এক কোণে বাসা বেঁধেছে মুমূর্ষুতা,
শহর, নগরের শরীর জড়িয়ে বেড়ে ওঠা যন্ত্রণা নামক পরগাছাকে আমি ভালোবাসি,
কি করে বলি তোমাদের পথে হাঁটতে হাঁটতে
জীবনের কাছে খুইয়ে ফেলেছি লুকায়িত জ্যোতি।
মাঝে মাঝে নিজেকে যৌনকর্মী মনে হয়,
মনে হয় অন্যের হাতে ঝুলন্ত কোনো পাপেট,
শরীর, শরীর, শরীর কোনো প্রাণ নেই,
নিকোটিন ভর্তি দুই চোখ দেখেছে আর হেরেছে।।
শুরু ছিলো, ফুল ছিলো, হাসি ছিলো,
মাঝে এসেছে অনন্ত শীতকাল,
গাছ, লতাপাতা, ঠোঁট, শরীরের কোষ
শুকিয়ে গেছে হিম বাতাসে,
আমার কবিতায় দুঃখ, গানে দুঃখ, ভাতের প্লেটে দুঃখ।
দুঃখ আমার শীতের চাদর, এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি এক মুমূর্ষু নদী,
মনে হয় আমি তোমাদের নগরীর রাস্তায় পরে থাকা আবর্জনা।