আচ্ছা তোমায় দুঃখ বলে ডাকলে কি ভুল হবে!
বিকেলের এক পশলা বৃষ্টির মতো যেভাবে তোমার আবির্ভাব ঘটে ছিলো
এই রুক্ষ মরুর বুকে,
তা নাতিদীর্ঘভাবেই শেষ হয়েছে।
শরীর ভিজছে কিন্তু মনের গহীন পথ এখনো শুষ্ক প্রান্তর,
আমি তোমায় রক্ত মাংসের শরীর দেই নি,
দেবী বলে তুলে নিয়েছিলাম কুঠিরে,
সকালের অপেক্ষা করে রাত,
অন্ধকার খুঁজে আলোর পথ,
তোমায় পেয়েছিলাম অশ্বরীর বেশে,
হারমানা মাংসের বুকে তোমার ঠাঁই,
এই ঠাঁই, এই নির্মান সমাজ নামক কারাগারের বন্দী দশা মেনে নেয় নি,
তুমি কি চেয়েছিলে যুদ্ধ হোক?
আমার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করবে চিরন্তন,
কুয়াশা কাতর জরাজীর্ণ তুমি,
কি বলে সাহস দিতে তখন?
আমি শহীদ, তুমি কি জয়ী?
নাকি হায়েনা বলে যাদের চোখে দেখেছি রক্তের নেশা তারা উড়াচ্ছে বিজয়ের ধ্বজা?
উষ্ণতা থেকে শীতলতার যে দূরত্ব,
তোমার আমার মাঝে এসে পড়েছে সেই মহাক্রোশ পথ,
মিনিটের কাটা ঘুরে, বাড়ে নীরবতা,
মাঝরাতে মফস্বলের আকাশ বাতাস জুড়ে বসে যেই নীরবতা,
তালে তালে কবর খোঁড়ার ভারি শব্দ কানে বয়ে আনে,
সাধ্য নেই আর,
গোধূলির ক্লান্ত রোদ্দুর হয়ে বসে থাকা,
মৌন বিষাদ আমায় মুক্তি দাও।
আমি তোমায় বিষাদ বলেই ডাকি,
আমি তোমায় দুঃখ বলেই মানি।