সদ্য গজিয়ে ওঠা পাখায় ভর করে-
ছুঁতে যাচ্ছিলাম ঐ সুনীল আকাশটাকে।


আকাশ থেকে-
তোমাকে দেখার পরে
কোন এক আশে
এলাম নেমে মর্তে।


তোমার ঐ সুনীল চোখে তাকিয়ে
আমি ছুঁতে পারলাম ঐ আকাশটাকে।


পাখা দুটোকে ভেঙ্গে ফেলে
সদ্য গজিয়ে ওঠা হাত দুটো নিয়ে
চললাম ঝরনার উৎস খুঁজতে।


পাহাড়ে উঠে-
তোমাকে দেখার পরে
কোন এক আশে
এলাম নেমে মর্তে।


তোমার ঐ কোকিলের মত কালো কেশে
খুঁজে পেলাম ঝরনার উৎসকে।


হাত দুটোকে ফেলে দিয়ে
সদ্য গজিয়ে ওঠা পা দুটো নিয়ে
ছুটে চললাম অজানাকে জানতে।


জানতে গিয়ে অজানাকে-
তোমাকে দেখার পরে
কোন এক আশে
এলাম নেমে মর্তে।


তোমার মাঝে খুঁজে পেলাম
শত শত অজানাকে
জানলাম তোমাকে, অবশেষে।


পা দুটোকে দিলাম ফেলে
এখন শুধু মন রয়েছে
দিতে চাই তা তোমাকে।


তোমাকে দেখার পরে
কোন এক আশে
এলাম নেমে মর্তে।


তুমি ফিরিয়ে দিলে মন আমার,
দেখালে স্তূপীকৃত মনের পাহাড়।
অহংকার ভরা কণ্ঠে বললে, হীন তুমি।
মন ছাড়া আর নেই তোমাতে কিছুই।


তোমার মন হতে পারে নির্ভীক।
কিন্তু তুমি নিতান্তই এক পথিক।


এখন আমি শুধুই প্রতীক্ষায়।
কবে গজিয়ে উঠবে পা,
তারপর হাত, তারপর পাখা।


এবার অজানাকে জানতে গিয়ে,
তাকাব না আর পিছন ফিরে।


ঝরনার উৎসকে খুঁজতে গিয়ে
তাকাব না আর পাহাড় থেকে।


সুনীল আকাশটাকে ছুঁতে গিয়ে,
কখনো তাকাব না আর নিচে।


কারণ নিচে, মর্তে রয়েছে এক পাষাণী।