এ মিছে মায়ায় কেন বলো আমায় জড়াতে চাহিছো সখী।
আমিতো ও পথের পথিক নহে তবে কেন মরে বারে বার ডাকিছো নয়নে নয়ন রাখি।


তুমি পূর্ণ সর্ণস্যাম নয়ন তোমার নক্ষ্ত্র উজ্জল ধারা।
আমি চূর্ণ বিচ্ছিন্ন সকল গ্রহ তারা আর গৃহহীন সুখহারা।
কুয়াসাচ্ছন্ন ধরনীর জনহীন মাঝ পথ,তারি দু-সারিতে বৃক্ষ উর্ধমুখী,
নয়নে ধোয়া ধোয়া ঝাপসা আবোরণে দেখি,
মুক্ত ধুলি দমকা হাওয়ার টানে জমছে প্রাণে মাঝ নয়নে'
চলছি তবু পা ফেলে নিশ্বাস।
একলা মনে নেই বিশ্বাস।


বন্ধ অন্ধ দীশাহীন গহীন রাত্রি।
মাঝ পথে আমি মরন পথেরি যাত্রি।
এমন ক্ষণে তারা হয়ে নয়নে তুমি উঠিলে আজি জাগি।
কেমন করে ফিরি এ ক্ষনে আমি তোমার লাগি।
তবু বার বার চেয়ে চেয়ে শুধু থাকি।
এমন মায়ায় মরে বাঁধিয়না সখী।
ওই তো-তোমার ধরনী,
কত যত্নে ফুলে ফলে,কত যত্নে বাঁধনে বাঁধা,তাদের হীদয় মধ্য তুমি।
তাহা সবে মোর এ শূন্ন ভূমি।
যাহাতে পারিনি শস্য ফলাতে,ফেলে রাখিনু শুধু অবহেলাতে,পহায়্নু কত রাত।
আজি তাই যে দিকেই চাই কুয়াসার প্রভাত।
তাহা মাঝে কিভাবে আসিবে তুমি আলোর বানি।
তুমি যে অন্য ভিন্ন রাজ্য রানী।
পারিবেনা সে বাঁধন কাটিতে।
আমি আমার মধ্য হাটিতে,
তবে এ মায়ায় তুমিও বাঁধিছ আমি ও বা কেন,
পারি নাহি তাহা বুঝিতে।
আমার এই নিশীতে,এসোনা ভালো বাসিতে,ফেলোনা তোমার ছাঁয়া।
এ যে মিছে মায়া।