হুমায়ুন আহম্মেদ স্যার বলেছিলেন.. আমি পাঠককে প্রচুর জায়গা ছেড়ে দিই চিন্তা করার,পাঠক নিজের মত করে ভাবতে পারে....
সেতো গেল গল্প উপন্যাসে কিন্তু কবিতায়?

কবিতায়ও পাঠক একই রকম ভাবে ভাবার অবকাশ পেলে পাঠক আরো নিবিড়ভাবে কবিতায় ঢুকে যাবে ,আপন করে নেবে কবিতাকে...

এ সময়ের একজনকবি আমাকে বলেছিলেন আমরা যে ভাষায কথা বলি সে ভাষায় কবিতা লিখতে হবে....

অধুনা কবিতা সেদিকেই কি ঝুকছে?

কবিতার শব্দ চয়ন একটা বড় বিষয়,
কবিতার শব্দের নিজস্ব একটি সুর/টিউন  আছে,বাক্যবিন্যাসে সে সুর এক মনোহর ব্যাঞ্জনা সৃষ্টি করে পাঠকের অনুভুতিতে তরঙ্গায়ীত হয়ে একটি স্থায়ী আবেদন সৃষ্টি করে...
অভিজাত বা রঙিন শব্দের ব্যবহার কবিতাকে অন্য এক মাত্রা দিতে পারে...
আমি বলছিনা কবিতায় অভিজাত শব্দ ব্যবহার করতেই হবে
সাধারণ শব্দচয়ণ ও উপমা রুপকল্পের ব্যবহারেও হয়ে উঠতে পারে একটি সুখপাঠ্য কবিতা.
কবিতা বক্তব্য থাকতে হবে?
অনেকে এটাকে কবিতার প্রধান শর্ত ভাবেন যে অবশ্যই ম্যাসেজ থাকতে হবে
ঠিক আছে-কিন্তু থাকতেই হবে এ বাধ্যতাবোধকে আমি মেনে নিতে পারছি না.কবিতায় দৃশ্যায়ন অর্থাৎ চিত্রকল্প,আবেগ,অনুভবের স্পর্শকাতরতা এগুলি থাকলে কি কবিতা হবেনা?
কবিতাটি বোধে আসেনি...
পড়তে ভাল লেগেছে?