নিষ্প্রদীপ রাত্রির অন্ধকারে ভীতির শিহরণ
সহসা আঁতকে উঠি,
উদয়াচলের আলোতেও তিমির নেমে আসে
বন্ধ দরজায় আছড়ে পড়ে সোঁ-সোঁ প্রতিধ্বনি।
বর্ষনমুখর বৈশাখের অভিষেক-
এখন আর সুখ স্মৃতির শিরোনাম হয় না,
নেচে ওঠেনা তরুন এ কবি হৃদয়
একবিন্দু রোমাঞ্চিত হই না।


এ বর্ষন আকাশে মেঘের বর্ষন নয়
এ বর্ষন কপাল পোঁড়া কৃষকের নয়নের জল,
এ ঝড়ো বর্ষনে বৃক্ষ শাখায় খ্যাপানাচন ওঠে না
শুধু মড়মড় শব্দে স্বপ্ন ভাঙার মত ভাঙে ডাল।
এ বর্ষন এখন আর পিচ্ছিল উঠোনে-
ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ঝমঝম নৃত্য করে না,
ময়ূরের মত বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতি ভুলায় না মন
ব্যাঙেরাও এখন মত্ততার উল্লাস করে না।


এখন বৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় আদ্র স্নেহ-স্পর্ষ নেই
নেই উল্লসিত কাব্য করার মত মৃদঙ্গধ্বনি,
আছে মেঘের বুকফেঁড়ে বাজ পড়ার কড়কড় শব্দ
আছে বিজলির মশাল জ্বলা দ্বিগুন অগ্নি কুণ্ডলি।
এখন শিয়রের জানালা খুলে শরীর মেলা যায় না
এখন নূপুর-নিক্কন নেই ক্লান্ত বর্ষনের বিলম্বিত লয়ে,
আছে বসত বাটিতে হুঙ্কার নিনাদ তোলা প্রমত্ত ঝঞ্ঝা
এখন গগন চুঁয়ে বিষন্নতার ঢলনামে দৃশ্যমান পৃথিবীতে।


রচনাকাল: ০২।০৫।২০১৭ ইং