হুটহাট মধ্যরাতে শীতল ঘুম যায় ভেঙে
করুণার মত আমার বুকে মৃত্যুর বড় সাধ জেগে উঠে,
অলিন্দের কানাগলি জুড়ে উপকূল ছোঁয়া
                         বাতাস মাতম করে ।
আমার স্বচ্ছ সমাধির পাশে আমি
ধূ ধূ গোরস্তানে পথহারা কোকিলের করুণ সুর ভাসে ।


মাঝরাতে আমার মৃত্তিকার ঘ্রাণ নিতে বড় ইচ্ছে করে ।


বিস্তীর্ণ মাঠের পরে একাকী দীর্ঘ গাছের নিচে
ঘাপটি মেরে থাকা অন্ধকার গুটি গুটি পায়ে
এসে ভর করে আমার আস্তিনখোলা বুকে।


ব্যাবিলনের উদ্যান,ফারাওয়ের পিরামিড,চীনের প্রাচীর জুড়ে
পৃথিবীর পুরনো শবেরা নৃত্য করে।
অষ্টপ্রহরের কৃচ্ছ্রসাধনা শেষে
ক্ষণিকের আনন্দ আমাদের কতটা কাঙাল করে ।


সবুজের মুখোশ এঁটে অট্টালিকার কারাগারে
পৃথিবীবাসী মৃতজীবীরা নিত্য মিতব্যয়ীতার সাধনা শেষে
ভ্রমের মত জীবনের স্বপ্ন দ্যাখে ।


আহা, ওরা কি জানে না, মিতব্যয়ীতায় কি জীবন থাকে !


এখন পৃথিবীতে শবদের যুগ
প্রাচীনতম সব শবেরা ক্রমশ উঠছে জেগে
সংকীর্ণতা,মিতব্যয়ীতা সব ভাগাড়ে ফেলে


পাঁজরখোলা বুকে,উঠছে মেতে
       অনর্গল নৃত্যে  
জানে ওরা কিসে জীবন আছে ।


একবার মৃত্যু হলে পরে
বোঝা যায় জীবনের কি মানে  ।