তোমার আদর্শ করতে প্রচার-
দায়িত্ব নিয়েছি কাঁধে তুলে।
যদিও তোমার ইচ্ছে মতো
প্রতিষ্ঠান করতে গেছি ভুলে।


তোমার নামে যত প্রতিষ্ঠান
হবে সারা বিশ্বজুড়ে ,
তুমিই হবে তার প্রধান
বলে গেছো বারে বারে।


তোমার দেহ অবসানে-
কে হবেন সংঘ প্রধান ।
তোমার রেতঃবাহী হতে
'অধ্যক্ষ' হবে- এই বিধান।


তোমার দেওয়া বিধানগুলো
পড়ে আছে ব‌ইয়ের ভাঁজে,
আমি চলি আমার মতো-
এসব আমি দেখি না যে।


"ইষ্টভৃতি ইষ্টকেই দিস
করিসনে তায় বঞ্চনা"
তোমার বলা এসব কথা
আমার কানে আসে না।


"মাসটি যবে শেষ হবে-
পাঠাস তা তুই ইষ্টস্থানে ।"
ইষ্টস্থানের সংজ্ঞা যেটা-
খুঁজি না আমি কোন খানে।


"মঙ্গলের অভিগমনে চলি"
যে স্থান হতে সকলে,
তাকেই বলে 'ইষ্টস্থান'
তোমার কথায় গেছো বলে।


তোমার বলা কথা গুলো-
বলছি নাকো কোনখানে।
জন্মস্থানকেই পুঁজি করে
ঠকিয়ে যাচ্ছি জনে জনে।


তোমার অবর্তমানে
ইষ্টভৃতি দিবো কাকে ?
তোমার নির্দেশিত ব্যক্তি?
ইচ্ছে মতো যাকে তাকে?


তোমার কথা মানতে হলে-
খুঁজতে হবে ব্যক্তি বিশেষ।
তোমার পুত রেতঃবাহী,
কিংবা ভক্ত সুনিষ্ঠ-অশেষ।


এসব কথা বলতে গেলে
আমার মূল্য থাকবে না।
তাই তো আমি কারো কাছে
এসব কিছুই বলি না।


তুমি তো আমার ঢালমাত্র
আদর্শের কথা মুখের বুলি।
তোমার পথে লোকে চলুক,
আমার মতে আমি চলি।


তুমি চেয়েছো চতুর ভক্ত
বোকার দল আমি খুঁজি ।
তোমার নামে অর্ঘ‌্য তুলে
বাড়িয়ে তুলি আমার পুঁজি।


তোমার নামে লোক ঠাটানো-
এখন দেখি ভীষণ সোজা।
ভক্তরা সব বোকার হদ্দ-
কেউ ভাঙেনি আমার মাজা।


লুটেপুটে খাচ্ছি আমি
তোমার নামের অর্ঘ্য যতো।
ইচ্ছে মতো করছি খরচ-
কেউ নেই দেখার মতো।


দেখবেটাকে এই অনাচার
ভাগ পাচ্ছে অনেকেই।
প্রকৃতির  বিচার ছাড়া-
আর কোন উপায় নেই।
(ত্রিশাল, ৯/০৫/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ)