বন্ধুর বন্ধু তার পর…!
কোন একদিন
ফজরের আযনের পরে
তিন মাথার মোড়ে
আমি রাজীব, রানা ।


নিরানন্দ কাল ঢের ঠাণ্ডা
কুহেলিকা সিক্ত প্রভাত
অবিদিত সঙ্গী র আবাহন
সে দিন ই প্রথম,পিপলুর
সাথে আমার প্রথম কহন ।


তার পর বেশ ক’য়েক-মাস
প্রতি দিন ই আদান প্রদান হল
মনের অব্যক্ত কথা মালা
আমি আর পিপলু ।


সময়ে অসময়ে ছিলাম দু’জন
দু’জনের প্রাণের পড়শী
প্রতি রাতে ই কথা হত
হত আলাপন ।


কোন এক কাল বৈশাখী রাতে
বাজার হতে বাটে
ফিরছিলাম মায়ার টানে
নিজের আঙিনায় ।


সে দিন রাতে ই পানিতে পরে
ভেসে গেল আমার ফোন
মুছে গেল আমার নম্বর সবি,
হারিয়ে ফেললাম তোর ।


মনে মনে আমি খুঁজেছি তোর
বছর ক’য়েক ধরে
প্রতি রাতেই স্বপ্ন দেখতাম ,
অচেনা মুখ ধরে ।


স্বদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি আমি
থাকবি তুই একা
আমার জন্য মায়া হয়নি
হল না তাই দেখা ।


আরবের পথে আমি একা
কেঁদেছি শত রজনী
চোখের জলে বুক ভিজেছে
ভেজে নেই মরুভূমি ।


ঠিক বছর তিনেক পরে
ভেসে এল তোর কণ্ঠস্বর
ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে বলেছিস
বন্ধু কেমন আছিস বল ।


স্ব দেশে কখনো দেখা হয়নি
দু’জন দু জনার
দু’জন-ই আজ পর বাসী হলাম
অজানা ঠিকানায় ।


মাঝে মধ্যে তুই খবর নিতি
কেমন আছি আমি ?
একদিন ও খবর নেওয়া হয়নি তোর !
অল্প মাহিনা পেতাম বলে ।


দশ রিয়াল দিয়ে চলে যেত মাস
ফোনে র বিল খানি
জুম্মা র দিনে-
বাবার সাথে কথা হত মিনিট খানিক ।


আজও তো বন্ধু হল না দেখা
তোমার আমার সনে,
আজো তুমি ভিনদেশী রইলে
আমি স্ব দেশে ।


শুনেছি তোর সুখের সংসার
অতলে গেছে পুরে,
ভালবেসে তাকে ঠাঁই দিয়েছিস
বুকের পাঁজরে ।


সে দিন রাতে কেঁদে কেঁদে-
তুই বলেছিস কত কথা
তোর জন্য মায়া লাগে বন্ধু
দিলে লাগে বড় ব্যথা ।


মরিবার আগে দেখা হবে বন্ধু
এ আমার প্রার্থনা,
বুকের পিঞ্জর খুলিয়া দেখাইতাম
এদিন তো রে রেখেছিলাম সেথায় ।


কত দিন আমি কেঁদেছি বন্ধু
পিপলু পিপলু করে
বুকের পাঁজরে শত ব্যথা,
বন্ধু রেখেছি জমা করে ।