অযুত-লক্ষ বরষের পথ পরিক্রমায়;
পৃথিবীতে মানুষ আসে বংশপরম্পরায়।
নগ্ন নিমগ্ন সৃষ্টি সৃষ্টির আবেগে;
শ্রেষ্ঠ প্রজাতি হয়েই উঠেছিলো জেগে।


কাদা ছেনে, তীর হেনে সময়ের সাথে;
অস্থির বিশ্বে মানুষ উৎসাহে মাতে।
মগ্ন নব ধারণায় চিন্তার আলোকে;
রূপ-রস-গন্ধের মোহ থাকে তবু চোখে।


রাজা মহারাজা কেউ, শাহ্ শাহানশাহ্;
পাদশাহ্ বেগম, রানী, যুবরাজ, বাহ্!
দিন-রাত-কর্মক্লান্ত পরিশ্রমী কেউ;
চারপাশে ঘুরেফিরে রক্তচোষা ফেউ।


জীবনের প্রতি পদে ক্ষয়িষ্ণু বিকৃতি;
তবুওতো ভালো লাগে আত্মপ্রতিকৃতি।
নিজেকেই ভালোবাসে অসংখ্য মানুষ;
সব ভ্রান্তির বিলাস, মোহ, রঙিন ফানুস!


যুগ যুগ ধরে সুকর্ম রবে কীর্তি হয়ে;
প্রস্তরে ক্ষোদিত মূর্তি ক্রমে যাবে ক্ষয়ে।
আত্মপ্রতিকৃতি দেখে তবুওতো হাসি;
নিজেকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি!


রচনাকাল: ঢাকা, ১৬ নভেম্বর ২০২২।