ঘুম আসে না, ঘুম আসে না, ঘুমের বাড়ি কই!
কোলবালিশে মুখ লুকিয়ে চুপটি করে রই।
অল্প সময় শুয়েই থাকি, দরজা খুলে ছুটি;
উল্টো হয়ে বাদুর ঝুলে, হেসেই কুটিকুটি।


খোয়াড় ভেঙে শূয়ার দেখি লম্ফ দিয়ে পালায়;
লেজ দিয়েছে মগজধোলাই, মাথাটাকেও চালায়।
কি অপরূপ, কি অপরূপ, মিটমিটানো চোখ;
টুব্বুশ খায় কাদার জলে, দেখে সর্বলোক।


হাতি দেখি কাদার ভিতর গদগদিয়ে ঢুকে;
দুর্বিপাকে পড়লে এমন, জীবনই যায় চুকে।
সর্দি লাগায় কুয়োর ব্যাঙএ একটু যদি কাশে;
মহামন্ত্রী উজির নাজির থাকে না আর পাশে।


ঠুলিপরা কলুর বলদ ছুটে তুফান মেল্;
মরাকাঠের গুড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ে তেল।
বড় স্যারের কিচেনে সেই তেল কড়াইয়ের মাঝে;
পুকুরচুরির টাকায় কেনা নদীর ইলিশ ভাজে।


অশ্বডিম্ব দেখতে ছুটে সাত গেরামের লোকে;
হাঁসের ডিম বেজীতে খায়, দেখে না কেউ চোখে।
শিয়ালে খায় কুমিরছানা পাঠশালাতে বসে;
কুমির ভায়া রোদ পোহায় আর মানসাঙ্ক কষে।


এসব কিছইু দেখতে থাকি চক্ষু দুটো মেলে;
মাস্তানে কয়,'এক্ষুনি ভাগ্, নইলে যাবি জেলে'।
কাচুমাচু করে বলি,' পাও দেবো কি টিপে?'
'এখানে না, বাসায় গিয়ে, উঠ্ গে আমার জীপে'।


বাসায় নিয়ে প্যাদানি দেয়, হাতপা বেঁধে জোরে;
মারের চোটে চোখ বুঁজে যায়, মোটা মাথাও ঘোরে।
কখোন জানি ঘুমিয়ে পড়ি মাথাঘোরার ফাঁকে;
রূপকথার এক রাজকন্যা দু'হাত নেড়ে ডাকে।

রচনাকাল: ঢাকা, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১।