তোমার উঠোনে করতাম খেলা,দুপুর গড়িয়ে গোধূলি বেলা;
তিড়ীং-বিড়িং করতে করতে যখনই আসত ক্লান্তির ছাপ
দৌড়ে গিয়ে নদীর জলে,লাফিয়ে দিতাম ঝুপঝাঁপ।
খেয়াতরী ভাসিয়ে দিতাম কোঁড়া নদের বুকে,
মাঝী নৌকার দাঁড় বাইতো-গান গাইতো সুখে।
পূবালী বাতাস বহে চলে, নদী করে কলকল
বাঁশের সাঁকোতে দ্রুত চলে উচ্ছ্বাস ভাঙ্গা তারুণ্যের দল।
রুদ্র স্নানে তোমার বনানী করিত ঝলমল
নদীর জলে মাছ ধরিত অনেক জেলের দল।
বৃক্ষছায়ায় বসে রাখাল গাইত রসের গান
বাশিওয়ালার বাঁশির সূরে গানে মিলতো প্রান।
হিঙ্গিকাড়ার নন্দন কাননে, দাড়ীয়ে ছিলে ঈশান কোনে
নিঝুম রাতের গগন পানে, ভালবাসায় মত্ত তুমি থাকতে নির্জনে।
কালবৈশাখীর বাউকুড়ানি পড়লে তোমার গাঁয়
শিকড় শুদ্ধা উপড়ে ফেলল এই ধরণীর পায়।
স্মৃতির মানচিত্রে তুমি সেই চীর সবুজ হিঙ্গিকাড়ার তরুরাজ
কবিতার ডংগে তুলে ধরলাম হারিয়ে যাওয়া প্রাণেশ্বর বটবৃক্ষকে আজ।