হায় ভালোবাসা !
মায়া মুন্ডিত এই মেঠো পথ ,
বাশেঁর সাকো ,
ভাঙা পুল ,
বটতলায় খুচরো দোকান
কিংবা চুরি করে কিনে আনা
নিষিদ্ধ কিছু ।
এইসব স্মৃতি এখন নিউরনের কোন এক
কোনায় ঝুলছে ।
আপন বলেই এখনো ঝড়ে যায় নি ।
আমি এখনো আমার
গ্রামটাকে পুরোটা দেখতে পারি
নি ।
পারলে হয় তো চোখে পড়তো
কিভাবে দুপুর না পড়তেই
শিশু কোলে নিয়ে
কিশোরী ছুটে চলে
সবুজ মাঠে
বাবা কিংবা স্বামীর খাবার
নিয়ে ।
কিছুতেই চোখ এড়িয়ে যেতো না
লুনা-বদন খেলা ,
খেলা শেষে ,
নারী-পুরুষ র্নিবিশেষে
পুকুরে এ ঝাপ দেয়া ,
এ এক মত্ত উন্মাদনা ।
আমি বড়ই স্বার্থপর ।
শুধুই নিজের জন্য দেখি ।
একটা দুটো শালিক ,
বাশঁঝাড় আর ভাঙা নদীর তীর দেখে
নিজেকে শান্ত রাখি ।
হয়তো এজন্যই চোখ এড়িয়ে গেছে
ভোর বেলা কুয়াশাভেদী ধর্মপ্রান
মানুষের মসজিদ ভ্রমন ।
বুকে বই জড়িয়ে কিশোরীর
স্কুলে যাওয়া ।
অথবা নসিমন করে অতিথির হঠাত্
আগমনী বার্তা ।
পুরো পাড়া ভরে ওঠে ব্যস্ততায় ।
আমি স্বার্থপর থেকে গেছি ।
চারদিকের সবুজ শ্যামল মাঠ ,
চির হরিত্ এর খেলা
যতদূর চোখ যায় ,
পাশ দিয়ে ছুটে চলা খাল
হাতিশালা ।
তবুও আমি ছুটি নিয়েছি ।
মুন্সিগঞ্জের বাধের উপর
একা বসে কবি ধর্ম পালন করছি ।
দেখছি কিভাবে নদী ভাঙে ,
আরো দেখেছি নদীর গভীরতা
পদ্মার নীল ,
মাছের আজ অভাব
তাই মাঝির হাহাকারও
চোখে পড়ে যায় ।
আমি চরে যেয়ে কিছুক্ষন হেটেছি ।
দেখেছি ছেড়া শাড়িতে ঘেরা
মার্বেলের মত চকচকে চোখ
পেয়েছি সুন্দের নতুন নাম শ্যামা ।
আমি আজন্ম স্বার্থপর ।
মাটির ঘর ,
বাশঁঝাড় ,হাতিশালা কিংবা
রবি ও বুধবারের ব্যস্ততম হাট আমার
মনে নেই ।
আমি তো ভুলেই গেছি নতুন বাছুরের
জন্ম ,কৃষকের ভালোবাসা ,কৃষানীর
হাসি ,দু মুঠো খেতে পেয়ে হাসান
পাগলের তৃপ্তি ।
এবার যেয়ে আমি আবার এসব
দেখবো ,
পায়ে হেটে বেড়াবো আমি
অস্তিত্ত ।
আমি এখনো ঘর চিনতে পারি না ।
এখনো শুদ্ধ হতে পারি নি ।
স্বার্থপর থেকে গেছি ।
তবে এবার . . . . . .