সত্য কথা ক’জন মানে,
দেখ না যাচাই করে।
জ্ঞানের ভান্ডার খোলা তবু,
বিবেকবানেরাই জড়ে।
বলা আছে সর্তক বাণী,
তবু বিষ পান।
চাল দিয়ে কি খই ভাজা যায়,
সে কী কার দান।
পচাদ্রব্য ডুবে বেশি,
ওজনবিহীন হয়ে।
পচার তবু কদর বেশি,
এই জগতে পেয়ে।
গুরু-শিষ্যের মত বিনিময়,
শিষ্যত্ব পেলে কবে।
কবে আবার দিলাম দীক্ষা,
ভুলেছি সেই ভবে।
এড়িয়ে চলি দুর্জনেরি,
স্বাধীনচেতা মনে।
তারো যে হায়! তাই আছে,
শোনে বা কার কানে।
বলে গেল গুরু পন্ডিত-
শোন তাঁর কথা।
একে একে বণন করি;
অন্যের সব কথা-
ভুল শেখাবেন না,
তবে সঠিক শেখাবেন।
লোভ দেখাবেন না,
পারলে, পুরুষ্কিত করবেন।
নিরুৎসাহিত করে হতাশায় ঢোবাবেন না,
তবে উৎসাহিত করবেন।
বকুনি দেবেন না,
দোষ ধরিয়ে আদব শেখাবেন।
নিঃসঙ্গ রাখবেন না,
তবে সঙ্গ দিয়ে সৎ সাহস দেবেন।
ভয় দেখাবেন না,
তবে মেন সাহস যোগাবেন।
লজ্জা দেবেন না,
তবে সংবরনের শিক্ষা দেবেন।
ধমক দিয়ে আত্মবোধে আঘাত দেবেন না,
তবে বিকাশের তরে বুঝতে দেবেন।
মিথ্যা বলবে না,
তবে সত্য বলে সাত্ত্বনা দেবেন।
গালি দেবেন না,
তবে মায়াডোরে স্নেহ করবেন।
নিন্দা করবেন না,
তবে বুক ভরা ভালোবাসবেন।
অবহেলা করবেন না,
তবে তাকে বুঝার প্রচেষ্টায় গুরুত্ব দেবেন।
হতাশাব্যঞ্জক কথা বলবেন না,
তবে অনুপ্রেণিত করবেন;
আত্মমনোবলে বলিষ্ট হওয়ার পরামর্শ দেবেন।
তবেই তুমি বিবেকবান,
জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ; নচেৎ তুমি পশুসমতুল্য-।