ওরে পথভোলা মাঝি-
নববধুর ঝলসানো রূপের কথা
ভাইয়ের মুখে শুনি ।
নবোদ্যমে পথচলা শুরু,
জোড়াতালি কাতার সূঁচে বুনি।

আলসিয়া মানষের (মানুষের) আগ  বেশি,
কুরিয়া (অকর্ম্মা) মানষের ভোক (ক্ষুধা) বেশি
ফল খেলে তো ফলের বেচনো শেষ ।
হবে ছাওয়া (সন্তান) ডাকবে বাপ (বাবা)
তার নাম রাখবে কালাচাঁদ
পড়শীর জয়ধ্বনি- গাইছ, গাও বেশ।


হাগড়ি (পায়ূবিধ) পেলে ছল,
হাগিয়া করছে সারা মাচার তল।
ভাবী বলে- জানো না হাতী করলে,
হাতীর চারা আগে আনতে হবে’।
মিছে কেন গল্পের জোড়া,
যা-তা কেন কবে।


দাদীর মুখে শোনা কথা
তোমারে বলে যাই।
নীতি কথার খোরাক মেটে,
মাঝের ঠ্যাং ধরে পালাই।


শোন- ‘মেনি গাইরে মেনি গাই
দুধ দ্যাউস ন্যা ক্যা?
আকোয়ালে ঘাস খোয়ায় ন্যা,


দুধ দ্যাং মুই ক্যা।
আকোয়াল রে আকোয়াল,
ঘাস খোয়াস ন্যা ক্যা?
কলা য্যা থোরায় ন্যা,
ঘাস খোয়াং মুই ক্যা?

কলা রে কলা
থোরাইস ন্যা ক্যা?
দ্যাওয়া য্যা চেলকে ন্যা,
থোরাং মুই ক্যা।
দ্যাওয়া রে দ্যাওয়া
চিলকিস ন্যা ক্যা?
ব্যাংগে য্যা টোর টোরায় ন্যা,
চেলকোং মুই ক্যা?

ব্যাং রে ব্যাং, টোর টোরাইস ন্যা ক্যা?
সাপে য্যা গিলি খ্যাবে,
টোর টোরাং মুই ক্যা?