-------------------------
"কেশপাশেঁ শোভে তার সুরঙ্গ সিন্দূর। সজল জলদে যেহ্ন উইল নব সূর।।
কনককমলরুচি বিমল বদনে। দেখি লাজে গেলা চান্দ দুঈ লাখ যোজনে।।
যমুনা কিনারেঃ বড়ু চন্ডীদাস : কেশপাশেঁ শোভে তার"
-------------------------

দীঘির আড়ালে হিজল তলায় অন্য এক উতল দীঘির জল
ভাবি আমি, আহা শালুকের বনে স্নানরত পানকৌড়ি উছল
সম এক নারী লম্বিত কন্ঠ তাঁর আদ্র স্কন্ধ দেখে লক্ষ যোজন
দূরে কার্তিকের চাঁদ লুকিয়েছে মুখ, বক্ষে তার রঙের আড়ং
তাকানো বারণ, উন্মন কম্পিত মন, চক্ষু বন্ধ করে বিচিত্র স্মরণ!

সে যেন উঠবেনা কোনদিন এই অবারিত চন্দ্রস্নান শেষে,
শ্যামলী রাধিকা তুমি স্বপ্নে এসো সুষম মেঘে ভেসে,
পাইন আর ওক বনে আলপনা এঁকে রাজহংসী হয়ে
তাম্বুল রাতুল অধর নিয়ে কম্পিতা তুমি একান্ত বিরহে
বন্যায় ভেসে গেছে যে সব হিজল, নিয়ে এসো তাহাদের জলজ ঘ্রাণ
এইখানে এই জানালার ধাতব গ্রিলেজ গলে যাবে্‌, তারাদের প্রাণ
শাটিনে মিলিয়ে যাবে রাশি রাশি তোমার আসার আশায়
প্রতিশ্রুতি খনন হবে ‘কোন অশ্রু, কোন পীড়া হতাশার
ঘায়ে’ ধূসর হবে না আজ শেষ রাতে !