তুমি অনেক অনেকক্ষণ অবারিত ঘ্রাণ স্নানে লুকোনো সিঁথির  সব লাল গলে যাক, এই ব্রত নিয়ে - 'ঘ্রাণ চাই, প্রেম চাই, অব্যক্ত স্লোগানে ধীরজ শিথিল বাণে প্রাণ মোর করো ত্রাণ, করো ত্রাণ এই দুঃসহ বেদনা, অলক্ত চেতনা, ভেঙ্গে দাও ওই নিয়ম কানুন যতো তিক্ত যাতনা!'

অথচ বিশ/তিরিশ মিনিট কালক্রমে শেষ হয়ে যায়, অনির্বাণ আলোর ভেতরে আঁধার নামে, মশালেরা নিভে যায়, উপবন ছেড়ে স্লাইড রোড হেঁটে চলে যাবে, ভারি বুক তোলপাড় নিঃশ্বাস দীর্ঘ হয় স্তদ্ধ বেলায়, বিদায় নেবার পালা, বিষণ্ণ দুপুরে কাঁদে উচ্চ শাখায় একাকী ঈগল …

জানি, অনীহা তোমার ছিলো অনাঘ্রাতা অনুচ্চারিতা পণ্য হতে যখন তখন, একান্ত ঘ্রাণেন ত্বরণে দীঘল ক্রান্তিহীন সময় প্রয়োজন, প্রাণ নাও, প্রাণ দাও, যুইঁ ফুল সম নীরবে নিভৃতে, তোমার অসীমে তারাদের মাইন খুঁড়ে শ্যামলী বিলাস ঘ্রাণ পানশালা খুলে কবিতার জন্ম হতো, আজ সব মাইন অন্ধকার চন্দ্র বিহীন, পৃথিবী অলস, নিরাশ হ্তাশ, মাত্রাহীন কক্ষপথ শূন্য আকাশ!

বাতাসে ক্ষতের ঘ্রাণ, আমার মতন, তুমিও কি বিক্ষত জখমী এক চিত্রা হরিণ? কতো তীর বিঁধে আছে জড়ুলে তোমার? এখানে সেখানে ? ভেতরে বাহিরে? শিশির নীরবে ঝরে অশ্রু হয়ে, কেন এতো শীত, তোমার শরীরে ?

হিমবাহ বয়ে যায়, আড়ালে আড়ালে এখন আর অমন সব কবিতা আসেনা, আকাশের সব নীল গায়ে মেখে নক্ষত্রেরা ঝরে যাবে, একদিন সব শূন্য করে কোনো সরোবরে, রবে কি না রবে, আমাদের ফসিল প্রবীণ, তৃষা নিয়ে, ঘ্রাণেন গহিন ঘন ধীরজ শৃঙ্গারময় দীর্ঘ ছান্দিক কবিতা বিহীন!

তবু এই অলীক জীবনে,
প্রাণ নাও, প্রাণ দাও, যুইঁ ফুল সম নীরবে নিভৃতে, ...