আমার কথা মনে হয় না তোর? অবশ্য হলেও তৎক্ষনাৎ  বদলাতে পারিস ভাবনার  পৃষ্ঠা
সেটা এতদিনে বুঝে গেছি!
এত লম্বা গ্যাপ তো হয়নি আগে
কখনো,
কোন কারন বা অকারণে -
এবার হলো বড় একটা ভ্যাকুয়াম স্পেস স্টেশন।
মজার ব্যাপার হলো -
এই শুন্যতার জন্য,
যোগাযোগহীণ হওয়ার জন্য -
এবারও কোন কারন নেই,
অভিযোগ নেই, অভিমান নেই!
ভালবাসার বালাই নেই,
সে তো ছিল না তোর কখনো কোন  কালেই!
সম্ভাবনাও নেই জন্মাবে অনাগত আগামীর গর্ভে বিন্দু বিসর্গ পরিমান আমার জন্য!
তোর পাহাড়সম দুখের সাথী হয়েছিলাম বলেই
একান্ত ভাবে অনুভব করেছি-
প্রিয়জনকে চিরতরে হারানোর বেদনা কত গভীর, কত অসহনীয়!
আমি এত দূর থেকেই মুছে দিয়েছি
অজান্তে গাল বেয়ে পড়া তোর চোখের জল,
প্রিয় মানুষ গুলি এই ধরাতলে
আসে আনন্দ খুশির পসরা সাজিয়ে,
কখনোই মনে হয়না,
এরা এসেছে মৌসুমি বাতাস হয়ে-
রাতের ঝরা শিউলির সৌরভ বয়ে নিয়ে
প্রিয়ার সকালকে সুরভিত করতে,
অত:পর!  
অত:পর
রাতে শিউলি হয়ে ফুটে
রাতেই শেফালি হয়ে
ঝরে যাওয়ার জন্যই -
ওরা আসে আমাদের বারবার কাঁদাতে!


এভাবেই কাটে আমাদের যাপিত জীবনের সময়গুলো,
তবু আবারো ভালোবাসতে চাই,
আবারো ভালবেসে যাই,
ভালবাসা পেতে চাই, দিতে চাই
দুই অঞ্জলি ভরে-
আসলেই কি চাই?
বিভ্রান্ত হয়ে যাই, বিভ্রান্ত করে যাই অনিশ্চয়তার দোলাচলে -
আর তুইও ফিরে যাস
আপন ঠিকানায়।
অন্যের দেয়া নামেই তো
সাড়া দিস কারো ডাকে!
আমি তোকে কি নামে ডাকব বল!
আমি তো নামহীন ঠিকানাহীন পথিক,
চৈত্রের খরা তাপিত দুপুরে
ক্লান্ত শ্রান্ত অবসন্ন হয়েও
পারিনা পথের বাঁকে
অযত্নে বেড়ে ওঠা গাছে হেলান দিতে!
কি নামে ডাকব তোকে?
দারুচিনি কন্যা? মেঘাশ্রী?
না কি জোনাকি?
জোনাকি বলেই ডাকব তোকে।
জোনাকি কেন?
এই নামটাই দিলাম তোকে-
তোর সাথে মানায় যে ঢের!
তুই জোনাকির মতই
টিপ টিপ করে জ্বলে আছিস
আমার মনের অরন্যে,
এই তো আলোকিত অরন্য
আবার ঘোর অন্ধকার
এজন্য তুই আমার জোনাকি-
যদি ভাল লাগে তোর
আমার দেয়া এই নাম
তবে তুই জোনাকি আর আমি অন্ধকার অরন্য-
থাকব অঙ্গাঅঙ্গি কাল থেকে কালান্তরে --
অথচ!!
আমরা কেউ কারো না!
কেউই কারো না।