আজ সহস্র কোটি বছর হয়
তোকে দেখি না,
তোকে দেখি না বলে
দেখা হয়না ভোরের হাসিমাখা মুখ
মৃদু হাওয়া ছুঁয়ে যায় না
লাউয়ের জানালায় সদ্যজাত ফুলকে
অনিয়মের দলে নিয়মিত কেবল জীবনটাই,
তাও হঠাত নিভে যাওয়ার প্রতীক্ষা;
এর সবই কি কেবল আমার একার দায়?
তোকে দেখিনা তাই প্রতিটি সকাল রুগ্নপ্রায়
সূর্যদোয়ের রক্তিম আভায়
আগুনের আঁচ, মেঠোপথের শেষে
দেখা হওয়া পল্লী সুন্দরীর অপলক দৃষ্টিপাত
সন্দেহের জাল বোনা,
যেন কোন অপরাধীর গোপন প্রস্থান !
সেও কি শুধুই আমার জন্যে?
তোকে দেখিনা বলেই বুঝি
ছন্দপতন জীবনের চলাচলে,
কল্পনায় বার বার আঁকা তোর মুখখানি
কখনও মলিন ঝরা শিউলির মত
আবার কখনও পৃথিবীর সব অস্বস্তি দিয়ে মেকাপ করা
এটা কি আমার কল্পনার দোষ?
নির্মল ভোর থেকে শুরু আর গভীর রাতের নিকষ কালো
দিয়ে লেখা শেষ উপাখ্যানের প্রতিটি শব্দের কসম
আমি তোকে শুধু তোকেই
ভালবেসেছি অন্য জাগতিক রঙে
প্রকাশিত শুধু ইহজাগতিক ভালবাসা
যা ভালবাসার প্রতিদানে দিয়েছি উজার করে
আলাদা করে সৃষ্টি করা ওই জগত সংসার
শুধুই তো তোর জন্যে গড়া
সকল সৃষ্টি অধরা রয়ে যায়
তুলির শেষ টানে শেষ করা হয়ে ওঠে না
শুধু তোকে সহস্র কোটি বছর দেখিনা বলেই !!!!