আমি কবে মানুষ হবো,এই অট্টালিকার পরে
আমি কবে মানুষ হবো,এই বায়োস্কোপের কল্পনার ঘিরে
আমি কবে মানুষ হবো,জনম থাকিতে ধরনীর বুকে
আমি কবে মানুষ হবো,প্রেমাময় আলিঙ্গনে সঙ্গীনির সুখে
আমি কবে মানুষ হবো,ছলনার যাতনায় পুড়ে দুঃখে দুঃখে
আমি কবে মানুষ হবো,বিরহের কাতরে নিঃশেষ হওয়ার পরে
আমি কবে মানুষ হবো,দীঘল যমুনার পাড়ে হেঁটে বহুদূরে
আমি কবে মানুষ হবো,নিশ্চুপ পথিকের বেশে,অন্তত কান্না পরিশেষে
আমি কবে মানুষ হবো,সোম শনি মঙ্গল কোন দিবসে
আমি কবে মানুষ হবো,কেউ আছো কি, বলতে পরো মানুষ রূপের বেশে।


আমি কি এখনো বেঁচে আছি,মানুষ সভ্যতার কান্নার নোনা স্রোতে
আমি কি এখনো বেঁচে আছি, দহন নিপিড়নের কষ্টের পরতে পরতে
আমি কি এখনো বেঁচে আছি,অনাহারির দুঃখী নীল ভ্রমরের পাখায়
আমি কি এখনেস বেঁচে আছি,কুসুম কলির শাখায় শাখায়
আমি কি এখনো বেঁচে আছি,বড়ই ফুলের নোলকের দুলের ঝুমকার মালায়
আমি কি এখনো বেঁচে আছি,চড়ুই পাখির গুঞ্জনে সারা বেলায় হারাবার
আমি কি এখনো বেঁচে আছি,রাজ হংসের উড়ো উড়ো জলের কিনারায় পাখনা মেলাবার
আমি কি এখনো বেঁচে আছি,শান্ত দীঘির অবাধ সাঁতার কাটার
আমি কি এখনো বেঁচে আছি,পুষ্প কিশোরীর স্নান সেরে ভিজা চুল দেখার
আমি কি এখনো বেঁচে আছি,উড়ো উড়ো মনে ঘুরে বেড়াবার ছন্দ ছায়ায়
আমি কি এখনো বেঁচে আছি, নাকি শঙ্খ চিলে ছেচামেছি বারংবার
আমি কি এখনো বেঁচে আছি,নাকি বদ্ধ পাগলের প্রলাপ জঁপি শূন্যতার আবার।


কথা গুলো সম্পূর্ণ আমার একাকিত্বের অসহায় জীবনের ভাবনার জল ছবির
ছবিগুলো ভাবনার কথা বলে অপলক,নিবাক চেয়ে থাকা গৌধূলি বেলা একা দাড়িয়ে
নিঃসঙ্গতার ধূলো পায়ে হাটি,একলা পথিক, এ যে একলা পথিক আমার আমি
কতো কৃষ্ণচূড়া ঝড়ে মৃত্তিকায়,থোকায় থোকায় লাল জড়ো হযে আছে
দু’হাতে তুলে ধরে গগন সমীরনে উড়িযে আবার এসে গা ছুঁযে মৃত্তিকায় জড়ায়
পলাশ শিমুল কলমিলতা ছুঁয়ে দেখে শিশির শিহরনে আমার একাকিত্ব ভুলে যাই
দূর্বা ঘাসে নগ্ন পায়ে হেটে বেড়াই এ যে পরম সুখের কাতরে হারাই।


আমার নিঃসঙ্গতা,নিঃষ্পেষিত জীবনের একমহা রঙ্গ
আমার নিঃসঙ্গতা,অসহায়বোধের আশাহীন মাত্রাবৃত্ত
আমার নিঃসঙ্গতা,সাদা কাগজের শুভ্রতার এক ফোটা নীল জল
আমার নিঃসঙ্গতা,ঝড়া পাতার খড় খুটো
আমার নিঃসঙ্গতা,উদ্যামতার লেশ মাত্রাহীন উল্লাস
আমার নিঃসঙ্গতা,বালিকার নয়ন জোগলে অবাধ বিচরন
আমার নিঃসঙ্গতা,দূরে সরে যাওয়ার প্রার্থনার ব্যাকুল তিক্ততা
আমার নিঃসঙ্গতা,নিকষ কালোর মাঝে ডুবে থাকা
আমার নিঃসঙ্গতা,খুড়ে খুড়ে খায়,অস্রু জল মিশে কলম কালির পাতায়
আমার নিঃসঙ্গতা,প্রাণহীন নির্জীব নিতর দেহ
আমার নিঃসঙ্গতা,সাত রঙে সাজে কবো,তবু বালুর ঘরের মতো ভেঙে যায়।


কথা গুলো জানানোর তেমন কোন অবকাশ ছিলো না আমার
মাথার মধ্যে বিষন্ন্য ব্যাথার চাপে উদীগরন করলাাম
সমযের ঘোরে আমি বুঝি
অসময়ের দ্বারে পতিত হচ্ছি
যেখানে আছে,নরকের বেদনার চিৎকার
যেখানে আছে অন্ত দহনের হাহাকার
যেখানে আছে শুধু কল্পনার দ্বার
আমি সেখানেই থাকবো
থাকবো আজীবন,
মায়া পরির খোঁজে........
হৃদয়ে মায়ার শূন্য কুঠিরে দিবো স্থান তাকে
সারাটি জনম,রাখিবো স্বপ্নের অঙ্গনে
যদি তুমি এসো ফিরে
আমি সব ভুলে যাবো বিষাদ যাবে দূরে হারিয়ে
যদি কখনো এই মানব কুলে প্রাণ পাখি হযে থাকো,জড়িয়ে
নিঃসঙ্গতা গুছাতে
স্বপ্ন ডিঙা
জ্যোৎস্না তারায়
চাঁদকে দেখাতে চাও
তবে,ফিরে এসো চাঁদের বুকে
সেই দিন গৌধুলী হারিয়ে
সন্ধ্যা তারা গুলো মিটিমিটি জ্বলবে
তোমার আগমনে
স্বাগতম জানাতে.......
সারা আকাশ জুড়ে হাজারো তারার মাঝে
মৃদু আলো হয়ে আমি রবো দাড়িয়ে।
তখনি নামবে সুখের বৃষ্টি ঝরা
একিভূত হবো
জ্যোৎস্না আলো ঝরা বৃষ্টির জলে স্নানে
তোমার কাঁপন শিহরন
জড়িযে রবে সারাক্ষণ।


ও.ও..ও...
তখনি বুঝি আমি মানুষ হবো
বেচেঁ রবো নিঃসঙ্গতার ছাড়িযে
সঙ্গীনির তরে…
আমি অপেক্ষায় আছি
আলিঙ্গনের স্নানের....