তুমি ছিলো গো ছিলো,রবে গো রবে মনের সারা উঠোন জুড়ে
কলো কলো তানে মনে ধ্যনে প্রাণে,ঝরো ঝরো বাণে তুফানে গানে
স্মরনো স্মরন ঝনো ঝন ঝন,কল কল বিহঙ্গ তালে লয়ে
উতলা দ্রোহে বিগ্রহ বিদ্রোহ গ্রহ গ্রহ নক্ষত্র চন্দ্র মল্লিকার মাণিক্য বাদলে
কালে কালে ছলো ছলো ডামা ড্রিম ড্রিম তাকা ধিন ধিন
তাকা দিনাক দিনাক তাক দিন দিনে চল চল গগণে বাজিয়ে কাকন
রনো বাণে সাজিয়ে বাজিয়ে ভন ভন,বোরাক ঘুরে ঘরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে
সাত আসমান ছাড়িয়ে ছড়িয়ে মেঘো বাধা পেরিয়ে,খোদার আরশো দ্বারে
ধীরে ধীরে আসনো দ্বারে তাহার মম বানী শুনো শুনো ধারন করো
হয়রত এনেছেন,মুক্তির সনদ বাহী,বহে রহে যেতে শান্তির কোলো ঢালি
সযং খোদার সাক্ষাতে মিলিত রক্ষা কবচ রক্ষিত গোপন নহে তাতে
সকলি দ্বারে অন্ধকার দূরে বেগতিক বিলাস জৌলুস দাস রবে না আর গোলামি
হবে একজনি হে সৃষ্টির সষ্টা সর্বত্র তোমায়,করিবো স্মরন এক একি নেকি মন
দিয়েছো করিতে ধারন শিখিয়ে পেয়ারে দোস্ত মুহাম্মাদের নামে,
তোমার গুন গান গেয়ে যাবো সারা জাহান,মান করিয়ে উচু,
রবে না আর কোন বেদা বেদ মালি মুচি যাযাবরে কবো বেদে নিচু।


তুমি সাম্যের গান গেয়েছে,তুমি নারী জননীর কথা বলেছো
হাসি হাসি রাশি রাশি প্রেয়সীকে মোহন বাশীতে বেধেছো,প্রেমের বাধঁনে
তুমি জড়া জীর্ণ পচাকে দূরে ঠেলেছো,নতুনে আহবানে জাগরণে ডাক দিয়েছো
সঞ্চয় আগামী বিশেষন অনুরাগী সমর্পন,তুমি ত্যজ কারার কপাট ভেঙ্গেছো
তুমি ব্রিটিশ সংগ্রামী সৈনিক,ঢাল তলোয়ার দেখিয়েছো
মমতার আদরে কেঁদেছো,মম ব্যথার আকুল প্রেয়াসা,প্রেয়সীর বাসন বাসরে।


হে গুনো গান
হে মহান চিরো বিদ্রোহী বাণী
তরঙ্গ সুরে কেঁপেছে,বিষের পেয়ালা হাতে,শত্রুর কন্ঠ রুধে বাণী
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে শিখিয়েছো,প্রেমের শিখল পড়ে
ফনিমনসার কাটার ফোড়া পুষ্প কোমল করে বুকে জড়াতে
ব্যথার তেয়াসা হারিয়ে।


কি গো ছিলো
হুংকারে ডুকারে ঝংকারে দমনে বির্সজনে
পথো ভ্রান্ত নিমেষে করেছো শ্রান্ত
অনন্ত অন্ত পথে সৎ গুনো সাথে,ঘাটে বাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছো
ফসলো বীজের অঙ্কুর
তাতে জন্মিয়েছে লাক্ষ্ সহস্র নজরুল
বুল বুল করিতে মদিনার বালু পথে ধূলো বালি ঝড়ে
উড়িয়েছো দিয়েছো শয়তানে অঙ্গ বালু পাথরের তলে
যমুনা থেকে নীল গীরি নীল সাগরে জলের তলে
ধর্ম অবতার চরন চিহৃ
হয়ে রয়ে যেতে চেয়েছে মরুর বুকে
খেজুর পাতার শিশির আর জাফরানে তুলে দুলে দুলে।


তুমি হাসনে হেনা ঘ্রানে মনের ঘুনে ধরা মাতাল হয়েছো
সুখ ‍নিয়েছো যত অসুখের বিষাদ তাড়িয়ে অবসাদে,
বন্ধু ডেকেছো রবীকে
তাহার অকাল প্রেয়ানে রবী হারা গান লিখেছো
তুমি কে গো
তুমি জনম জনম প্রীতি প্রতিম
তুমি মোয়া্জ্জীনের আযান শুনতে চাও
তুমি মসজিদের পাশে শুতে চাও
তুমি দূর দালানের কানন শুভাষিত ঘ্রান
তুমি কে গো ছিলো ‍দিলে না দিলে দেখা পথোহারা অনাহারি নিজের খাবার দিলে।


আজি এ বেলায় কাতর হেলায় অস্রু সজল করি গো মাতম হৃদয় করে উতলায়
বাজিয়ে তোমার খড়গ শান্তি শান্ত উদার করো গো বাংলার বাঙালী থেকে বিশ্ব ভ্রমানন্তে
তুমি শশী নিশিতে নেশা ধরণীর বুকে প্রেম জাগিয়েছো,
ছড়কা ছটক,পটকা ফটক ধর্মীন্ধতার বানী,নিরানন্দে ছড়িয়েছো,...


হে মহা মানব
আজ এ খোলস বন্ধী রন্ধে রন্ধ গন্ধে সারা বাংলায় ধর্মের নাম অপবাদের রটায়
তোমার বানী জাগিয়ে দাও,দাউয়ে দাও
দাও নিভিয়ে বন্দনাতে তোমার হোক আজিকে জয়,
জয়ের অবর্তীকায় জয় জয়কারে,নজরুলের জয়ে
জয় হোক কাজী শহীদের
জয় হোক সাম্যবাদী তরুনের
জয় শান্তির বিনা পানির বানীর,
জয় সকল নবী অলি ফেরেস্তা তবো মুমিনের
জয় বিধানদাতা বিধাতার,তবো তার জয়ো গাই গেয়ে তার গান।