কত পুরাতনের সাক্ষী তুমি,
কত অতীত স্মৃতির ঝাঁপি।
সাঁঝের বেলা ধানের ক্ষেতে,
বাউল বাতাস উঠল মেতে।
জোৎসনা মাখা ঘাসের ডগায়
স্নিগ্ধ শীতল পরশ নিয়ে,
স্বর্ণ ধারায় ধুইয়ে দিয়ে
উঠলে যখন পূবাকাশে।


তোমায় দেখে উথাল পাথাল
কত হৃদয় জাগে_
পাথর ঢাকা শীতল বুকে
আলতো ছোঁয়া লাগে।
গহীন মনের অন্ধকারে,
জোৎসনা মাখা তুলির টানে,
রঙিন নেশা লাগে !
শুকনো বুকে মরুমায়া
স্নিগ্ধ সুধা ঢালে।


যদি ও থামেনি সময় ,
বয়ে গেছে কাল স্রোতে।
কত হাহাকার আর্তনাদ ,
লুকানো আছে তোমার ক্ষতে।
কত চাপা কান্না নিঃসহায় ভাবে
বুক ফেটে ডুকরে ওঠে_
কত বেদনা চাপা পড়ে
শীতল অন্ধকারে!


কত ভগ্নাবশেষ পড়েছে ধ্বসে।
কত তারা গেছে খসে।
থেমে গেছে কত স্পন্দন,
তোমারই পানে চেয়ে_
ভেঙে গেছে, কত
সাজানো সময়ের ভেলা।
তবুও থামেনি পথিকের চলা,
জীবনের ঘাত প্রতিঘাতে!


কত মূহুর্ত উঠেছে গড়ে,
তোমার ওই চাহনিতে।
কত শিশির পেয়েছে প্রাণ,
তোমারই পরশে।
কত নতুন ঘাস গজিয়েছে
সমাধির ফলকে_
তাই আজ প্রাণে জাগে আশা,
তোমায় দেখে রাতের আকাশে।