আজ বহুদিন পরে
বসেছি জানালার ধারে
সূর্য হেলে পরেছে অনেক আগে
বিকেলের হলদে রোদে স্নানরত পৃথিবী।
সবুজ গালিচা বিছানো ঘাস,
দূরের দিগন্ত, সুনীল আকাশ
আমাকে আনমনা করে দেয় সহসা
হঠাৎ কলেজের সবুজ দিনগুলি চলচিত্র হয়ে যায় যেন
স্পষ্ট ভাসে -
রাস্তার মোড়ে বাস থেকে নেমে
করো অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা।
মনে পরে ,বান্ধবি সাথে থাকলে
তুমি ফিরেও তাকাতে না আমার দিকে।
সে কি নিদারুণ অবহেলা!
মনেহতো পৃথিবীবিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপের অচেনা এক মানুষ আমি
বাতাস অচঞ্চল হয়ে শ্বাস চেপে ধরতো আমার,
থেমে যেতো পৃথিবী, ক্ষণতরে।


তারপর দীর্ঘ পথচলা পাশা পাশি দুজনে
প্রেমের সারথি হওয়া মথুরায় বিজন বনে।
ঘোলা জলের সেই বিখ্যাত পুকুর, সানবাঁধানো ঘাট,
কাঁঠাল তলা, পশ্চিমের রাস্তা ধরে দুজন শেষ প্রান্তে প্রতি দিন হেটে যাওয়া।

সেসব দিনগুলির কথা পঙতিতে সাজালে কবিতা হতে পারতো,
ঘটনায় হতো উপন্যাস,
চিত্র ধারণ করলে হিট সিনেমা হতো নিঃসন্দেহে।


আজ শুধু প্রান্ত বদল হয়েছে মাত্র
অথচ চেনা সব পথও অচেনা মনে হয়।
স্মৃতিগুলি বিকেলের রোদে
লম্বা প্রতিবিম্ব ফেলে হৃদয়ের লনে।


ব্যস্ত জীবনের সিঁড়িবেয়ে
সে দিন গিয়েছিলাম স্মৃতির আলয়ে
ক্ষণকাল বসেছিলাম একা সে কাঁঠাল তলে।
সেদিনও দেখেছি তোমার ছবি  পুকুরের অচঞ্চল নিরব শীতল জলে
মিষ্টি সে হাসি সিক্ত অধর নিঙারি ঝরে ঝরে পরছে
শীতল ধারায় প্রবাহিত সুনীল চোখের ঐ অপলক বাঁকা চাহনি
আমাকে মন্ত্রাহত করে তোলে,
নিবিষ্ট নয়নে দেখছিলাম মুগ্ধ হয়ে তোমার সে ছবি
কখন যে গোধূলির মায়ায় তলিয়ে গেলে
চেনা সে পুকুর জলে।
বুঝতে পেরেছি আঁধার ঘনিয়ে এলে..
আজ আমি নিঃসঙ্গ একা
আঁধারেই আমার বাস, অনন্ত চলা।
জানি শুনবেনা তুমি
তবু নিরুদ্দেশি এ গল্প বলা।