না, কোন তীক্ষ্ণ ছুরির কোপ নয়
হনুমানের গদার দন্ত ছড়ানো প্রক্ষেপ নয়
অমাবস্যার গহিন অন্ধকারে
প্রতিনিয়ত একটু একটু মধুপূর্ণিমার বিনাশ
ধূসর বিমর্ষতায় ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলা
সাজানো প্রাণবন্ত গোলাপের বাগান
যেমন পেন্সিল গিলে খায় সার্পনারে
সম্ভ্রম-মর্যাদার অপ্রসন্ন কুঞ্চিত ভ্রুভাঁজে
মন্থর চলনে তলিয়ে যেতে থাকি
অতল গহ্বরের একেবারে অন্ধ তলদেশে ।


একদা স্বপ্নের অনাবিল বাগিচায় ছিল
মায়ায় মায়ায় জড়ানো গৃহকোণ
প্রভাতী সূর্য সেথায় নিত্য চোখ মেলে হাসতো
ডানা মেলা প্রজাপতি, পাখির কূজন
ফুলে ফলে পূর্ণ যৌবন বৃক্ষ
উদ্বেল উৎফুল্ল অফুরান সৌরভ
প্রখর উত্তাপ শেষে মেখে দিতো
গোধূলির স্নিগ্ধ পরশ
জোনাকির মিটি মিটি আলোয় ছিল আবেশিত রাত
কখন যে শুরু হলো পূর্ণ অবয়বে
হতবিহ্বল জীবিত লাশের গুমরে ওঠা কান্না
হয়তো বিনাশেই পরিণতি ।


যে ইচ্ছা করে পালায়
তাকে আটকে রাখার চেষ্টা, সে-তো ভাল নয়
সে স্বেচ্ছায় দূরে ঠেলে দেয়
তার কাছে থাকতে চাওয়া, সে-ও ভাল নয় ।


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ০৫/০১/২০১৭