লতার মতো বেড়ে উঠা সেই যে শৈশবের কাল
একটু একটু তখন বুঝতে শেখা
তাকিয়ে দেখি চতুর্দিকে
স্নেহ-ভালবাসার দৃঢ় সামর্থ্যবান হাতগুলো
হারিয়ে গেছে অনেক আগেই
ভারী অসহায় আঁচলের অতৃপ্ত ছায়ায়
একে একে কাটলো বেলা
কৈশোর গেলো, বলিষ্ঠ যৌবন এলো
বেশ খানিকটা বুঝতে শেখা
সেই অসহায় মমত্বের একই আঁচল
নিজের মতো লক্ষ্য তালাশ, এঁকে বেঁকে হেঁটে চলা
হঠাৎ একদিন সে ছায়াও মিলিয়ে গেল
অতঃপর ছায়াহীন অবিরত চলতে থাকা
পূর্ণ যৌবনে ক্রমাগত ছুটে চলেছি
শুধুই দায়িত্ব আর কর্তব্যের বোঝা ৷


আমি ভালবাসার পান্থজন
ভালবাসা-প্রীতি দিয়ে যাই, প্রতিনিয়ত দিতে থাকি প্রেম
হায় হতভাগা আমি !
শক্ত-সমর্থ হাতের নির্মল-নির্মোহ ভালবাসার ছায়ায়
আজো আমার হলো না নিবাস
আজো মিললো না আশ্রয় ৷


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরীর পথে, ২২/০২/২০১৭