অদৃশ্য সুতোয় গাঁথা দীপ্ত চিহ্নগুলো
কেবলই খেলা করে সম্মুখে
চিন্তা-অনুভব ব্যর্থ হয়ে ফেরে
সে সুতো যায় না ছোঁয়া
অনুমানে নানা লোক, নানান মতের মেলা ।


যদি পাপড়ি না মেলে ফুল
নাসিকায় সৌরভ আসে না
কলিকা না ধরলে গাছে
পুষ্পরা পাপড়ি মেলে না
সজীব না হলে বৃক্ষ
না ধরে কুসুম-কলি
না দিলে বীজ ও প্রাণ
মৃত্তিকায় বৃক্ষ জাগে না ।


মহাবিশ্ব-প্রকৃতির যতো চিহ্ন
কাঁর সে গুপ্ত নিয়মে বাঁধা ?
বাইরের চিহ্ন দেখে দেখে
যায় কি তাঁরে চেনা ?
চিন্তা-অনুমানে শুধুই সংশয়, ব্যাকুলতা ।


বিশেষ মাধ্যমে বিশেষ জ্ঞান
সাধারণ হতে ভিন্ন
ঐশী জ্ঞানের বাহক হতে ব্যক্ত
অন্তরিত আপেক্ষিক সম্বন্ধ
বৈষয়িক কল্যাণের চিহ্ন ‘বস্তুজগত’
নৈতিক কল্যাণের চিহ্ন ‘রিসালাত’ ।


মানুষের তরে স্রষ্টা বলেন
“সোজা পথ বাতলে দেয়ার দায় নিয়েছেন তিনি
সেখানে বাঁকা পথও বিদ্যমান”
সোজা পথে চলতে বাধ্য করা
স্রষ্টার ইচ্ছা নয় ।


ফিরোজ, দিলকুশা, ০১/০২/২০১৮