বহুদূরের নগরোপান্ত ছুঁয়ে যাওয়া
একাকী বাঁশরীর সুরের মতো তোমাকে ছুঁয়ে দেই
নদীটি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ফোঁটার হিস্যা চায় অকুণ্ঠচিত্তে
আর, ধীরে ধীরে আগামীকাল
কবিতাগুলোর অভিমুখ অতিক্রম করে চলে যায়
বহুদূরের মাটিকে তাই বুকে ধারণ করি
আর সে জমিন আমায় ভ্রমণ পথের উপর তুলে নেয়


একটি ঘোটকীর উপর রচিত তোমার মূল্যবোধে
আমার আত্মা গেঁথে যায়  
তোমার ছায়ায় ছায়ায় সৃষ্ট প্রাকৃতিক আকাশ
একবারে হয়ে পড়ে শুঁয়োপোকার আবরক কোষ
এই পৃথিবীতে তোমার সকল কাজের সন্তান আমি
আমার ক্ষতচিহ্নগুলির সন্তান
যা তোমার ঘনিষ্ঠ বাগানগুলিতে
জন্ম নেয়া ডালিমের পুষ্পমঞ্জরীকে উজ্জ্বল করেছে


জুঁইফুলের মধ্য হতে রাত্রির রক্ত সাদা হয়ে বয়ে যায়
তোমার সুগন্ধি, আমার দুর্বলতা আর তোমার গূঢ় রহস্য
সাপের দংশনের মতো আমার দেহে বিষ ঢেলে দেয়
আর তোমার চুলগুলো রঙিন হৈমন্তী বাতাসের তাঁবু হয়ে যায়
আমি কথা বলতে বলতে হেঁটে যাই শেষ শব্দগুলোর প্রতি
এক বেদুইন বলেছিল এক জোড়া শান্তির পায়রার কথা
সুদূর সময়ের রেশমী সুতায় বাঁশরীর সুরের কম্পনের মতো
তোমাকে কাঁপিয়ে দেই
আর তোমার ও আমার চারপাশে
সুপ্রাচীন ক্ষেত্রের ঘাসকে নবপল্লবিত করে তুলি


(ফিলিস্তিনের কবি মাহমুদ দারবিশের ইংরেজিতে অনুদিত কবিতা “Sonnet V” অবলম্বনে)


ফিরোজ, মগবাজার, ১০/০৫/২০২০