একটি অন্তর নদীর মত
পাল উড়ানো বাতাস গায়ে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে নেয়ে নেয়ে
মন মজানো গানে গানে
কলকলিয়ে হেসে হেসে
সাগরপানে বইতে লাগল
হিংসুক ওরা ক্রুদ্ধ হল
উজান পথে বাঁধ বিঁধিয়ে
নদীর ধারা আটকে দিল
দিনে দিনে দুই কূলে তার
বালুর চরা জেগে উঠল
সেই নদীটা কষ্ট বুকে
একদিন তাই শুকিয়ে গেল
সূর্য-আলোয় শুষ্ক বালু
তাপে তাপে উষ্ণ হল ৷


একটি হৃদয় বৃক্ষের মত
শাখে-শাখে সবুজ পাতায়
মিঠেল রোদে মিষ্টি আভায়
সজীব শ্বাসে সতেজ ছিল
ফুল, পাখি আর মৌমাছিরা
গুনগুনানি মুখর ছিল
ফুলকুঁড়িদের কলতানে
সে বৃক্ষপাতা সরব ছিল
হঠাৎ ভীষণ বজ্রপাতে
বৃক্ষটি আর বৃক্ষশাখের
সবুজ পাতা দগ্ধ হল
শুকিয়ে শুকিয়ে বৃক্ষটিরও
প্রাণভোমরা হারিয়ে গেল
অবশেষে একদিন সেও
আগুন জ্বলার ইন্ধন হল ৷


একটি মনে আকাশ ছিল
আকাশটি বেশ বড়ই ছিল
বাওরা বাওয়ে দুলতে দুলতে
মনপাখিটা উড়তে উড়তে
দূর সীমানায় ঘুরতে ঘুরতে
সুর আনন্দে মেতে ছিল
দীপ জ্বালানো তারার সাথে
সে আকাশের সখ্য ছিল
চতুর্দিকের কূটকচালে
সংকোচনের বিষকাঁটাতে
আকাশটাকে বিদ্ধ করল
আকাশটা তাই ক্রমাগত
ক্ষুদ্র হতে হতে বিন্দু হল
এমনি করে ধীর লয়ে সেই
আকাশটাও মিলিয়ে গেল ৷


স্বপ্নমাখা অন্তরখানি
একদা খুব সজীব ছিল
দিনযাপনের অগ্নিদাহে
ঝলসে ঝলসে ক্লিষ্ট হল
হৃদয় ছেঁড়া কষ্টগুলো
পাঁজর তলে বন্দী হল
একটি অন্তর অবিরত
নিঃশব্দে কাঁদতে লাগল ৷


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ১১/০৮/২০১৭