ঈর্ষা অহঙ্কার প্রলোভ বা দাম্ভিকতা
প্রতিনিয়ত পীড়নে অতিশয় ক্লিষ্ট
অথচ, শ্বেতপারাবত হবো, হবো শান্তিন্বেষী
নভোযান ছোটে মহাকাশপানে
মাস্তুলের স্বস্তি সমুদ্র, তরণী খোঁজে নদীবক্ষ
বা ফলার সুখ জমি কর্ষণে, তেমনি স্রষ্টায় স্বীয়-সমর্পণে
প্রশান্তি পাই, নিয়মিত মসজিদে যাব
কোরআন পাঠ আর ইবাদতে
কাটাব অনুদিন, মুছে ফেলব শতবর্ষী পুকুরঘাটে
জমে থাকা স্যাঁতসেঁতে শ্যাওলা, অন্তরে জমানো
ভারী যন্ত্রণাদায়ক সব পাপ।


কৃচ্ছ্রসাধনে ইউনিভার্সিটি খরচের
দশভাগের এক অংশ গচ্ছিত করব, বিলিয়ে দিব
দরিদ্র পথশিশু বা খবর না নেয়া অসহায়
বৃদ্ধাদের মাঝে, পদব্রজে ইউনিভার্সিটিতে যাব
ট্যাক্সিটা বিক্রি করে টাকাগুলো সংরক্ষিত রাখবো
দুঃখী ও গরীব বন্ধুদের জন্য।


ক্লাসে গভীর মনোযোগী হবো
অতঃপর আঠার বছরে গ্রাজুয়েট
তারপর মাষ্টার্স, ডক্টরেট, বিশ্বের প্রথম সারির
পণ্ডিত, অর্থাৎ একজন বড় স্কলার
বাহ! ভাবতে ভালই লাগছে ...
না-না! এ ভাবনায় দাম্ভিকতার গন্ধ
এ যে পাপ, স্খলন! অথচ মসজিদে গিয়ে
মুক্তি পাবার কথা ভেবেছি।


বরং প্রতি অপরাহ্নে, ঝর্ণার পাশে
কোন এক গাছের ‍ছায়ায় বসবো
সংগে কিছু হালকা খাবার, কয়েকটি বই
আর একটা গিটার, সেথা বই পড়বো
গিটার বাজিয়ে গান ধরবো
মাঝে-মধ্যে মৃদু আহার, একদিন মানসপ্রিয়া
আসবে কাছে চুপি-চুপি
নিষ্পলক চেয়ে বলবো - আমি বড় একা
একাকিত্বেই কাটে বেলা, সে ব্যাকুল হয়ে
হস্ত রাখি হাতে, বসবে পাশে, শোনাবে গান
প্রিয়বচনে হবো মুখর, একদিন গভীর ‍আবেশে
প্রমোদগম মক্ষিকার মতো তার
শিমুল রাঙা ঠোঁটে আঁকবো মধুর চুম্বন ...
ছি! ছি! জীবন এভাবে নয়
কোন নারী থেকে দৃষ্টি রাখব সংযত, তিন বৎসর বাদ
মনের মতো কোন মেয়েকে করব বিয়ে।


এখন থেকে জিমনেসিয়ামে যাব রোজ
শরীর চর্চায় দেহের শক্তি বাড়াব
একদিন পঁয়ষট্টি কেজি একহাতে তুলবো
কোন বজ্জাত যদি দুষ্টুমি করে
কিছু বলার দুঃসাহস দেখায় আমার বউকে
তাকে পাঁচফুট শূন্যে উঠাব তখনি
না-না, কোন ক্ষতি করব না
সে তার ভুল বুঝলে, নামিয়ে এনে বলব
দূর-হ হতচ্ছাড়া সম্মুখ ছাড়ি।


ফিরোজ, টিকাটুলি, ১৩/০৯/১৯৯৯